বুধবার পাঠানো এ নোটিস বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।
রিট আবেদনকারী রেদোয়ান আহমদের পক্ষে অ্যাডভোকেট (অন রেকর্ড) মো. জহিরুল ইসলাম এ নোটিসটি পাঠিয়েছেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী হাসান মাহমুদ রিয়াদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বিষয়টি উল্লেখ করে নোটিসে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) চার ও পাঁচ নম্বর জেটি পরিচালনায় ইতিমধ্যে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করতে বলা হয়েছে।
“পাশাপাশি এনসিটির দুই ও তিন নম্বর জেটিতে অপারেটর নিয়োগ যেন চূড়ান্ত করা না হয় সে অনুরোধ করা হয়েছে।” এর ব্যত্যয় হলে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে বলেও নোটিসে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
যে চারজনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে তারা হলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিক আলম মেহেদী, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ, বন্দর সচিব ওমর ফারুক ও পরিচালক (পরিবহন) গোলাম সরওয়ার।
নোটিস পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এনসিটির চার ও পাঁচ নম্বর জেটি পরিচালনায় সাইফ পাওয়ারটেক, এম এইচ চৌধুরী লিমিটেড এবং এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্সের সঙ্গে করা চু্ক্তি বাতিল করতে বলা হয়।
ইতোমধ্যে আপিল বিভাগের নির্দেশে এনিসিটির অপারেটর নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেছে। এ সংক্রান্ত এক আদেশ মঙ্গলবার বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়।
আইনজীবী রেদওয়ান আহমদের করা রিট আবেদনে গত ৭ জুন হাই কোর্ট এনসিটির চার জেটির দরপত্রে বন্দরে কর্মরত বার্থ অপারেটরদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এরপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চেম্বার বিচারপতির আদালতে আপিলের আবেদন করে। চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
গত ২১ জুন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
এরপর দেওয়া আদেশে আপিল বিভাগ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের টার্মিনাল অপারেটর চূড়ান্ত সিলেকশন ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে এবং ওই সময়ের মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগে শুনানির আদেশ দেয়।
এর মধ্যে গত ২৫ জুন এনসিটির চার ও পাঁচ নম্বর জেটি পরিচালনায় চুক্তি স্বাক্ষর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।