গত বছর ঈদে শ্রমিক অসন্তোষ এবং গত তিন-চার মাসের বেতন পরিশোধ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই তালিকা করা হয়েছে।
শিল্প পুলিশের-৩ এর পরিচালক তোফায়েল আহমেদ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “এসব প্রতিষ্ঠানে যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
এসব কারখানার মধ্যে ৫৯টি বিজিএমইএ ও চারটি বিকেএমইএর অন্তর্ভুক্ত। ২১ হাজারের মতো শ্রমিক এসব কারখানায় কাজ করেন।
তোফায়েল বলেন, “রোজার শুরুতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। অতীতে বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা হয়েছে এমন কারখানাগুলোর মালিকপক্ষের সাথে বৈঠকও করছি নিয়মিত। আমরা ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ও ওভারটাইমের টাকা পরিশোধ করে দিতে মালিকদের অনুরোধ করেছি।”
এছাড়া কোথাও অসন্তোষ দেখা দিলে দ্রুততার সঙ্গে সাড়া দিতে শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিল্প পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মহানগর, জেলা পুলিশ ও সদর দপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
“চট্টগ্রামের কারখানাগুলোকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। অসন্তোষ এড়াতে সব জোনে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের পাশাপাশি মোবাইল টিমও বাড়ানো হয়েছে। কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ হওয়ার আগেই যেন পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।”
বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও শ্রমিক অসন্তোষ রোধে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ।
“আমরা বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি। বিজিএমইর সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোতে কোনো সমস্যা নেই।
“তবে আর্থিক সমস্যায় থাকা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিতে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ব্যাংকের সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার সংখ্যা প্রায় ৮০০, যার সাড়ে ৫০০টি উৎপাদনে আছে।
তবে শিল্প পুলিশের হিসাবে, চট্টগ্রামে বিজিএমইএ, বিকেএমইএর সদস্য ও এর বাইরে মিলিয়ে কারখানা রয়েছে ৬৪৬টি, যার মধ্যে উৎপাদনে আছে ৬৩০টি।