মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইনোভেশন ফান্ড ও ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে নতুন এক হাজার উদ্ভাবনী উদ্যোগকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবে সরকার।
“ইনোভেশন ফান্ড থেকে কোনো ব্যক্তি বা স্টার্ট আপ কোম্পানিকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা সহযোগিতা দেওয়া যায়, যা ক্ষেত্রবিশেষে অপ্রতুল। এজন্য সর্বোচ্চ সীমা ২০ লাখ টাকা থেকে বাড়াতে সরকার কাজ করছে।”
আর্থিক অসঙ্গগতির কারণে কারো শিক্ষা জীবনে যেন ছেদ না পড়ে বা সবার উদ্ভাবনী আইডিয়া যেন বিকশিত হয় সে বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই এই ইনোভেশন ফান্ড ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে বলে তার বক্তব্যে জানানো হয়।
ইনোভেশন ফান্ডের উপদেষ্টা ড. কায়কোবাদ বলেন, “আমাদের সম্পদ সীমিত। তাই এই সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
আইসিটি মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানান, ২০১৩ সাল থেকে এই তহবিলের অধীনে বছরে তিন বার উদ্ভাবনী অনুদান ও উচ্চ শিক্ষার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে এই তহবিলের জন্য আবেদন করতে পারে।
চলতি বছর মোট ১০ জন ব্যক্তি ও ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে উদ্ভাবনী কাজের জন্য মোট এক কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
আর ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে ৪১ জন মাস্টার্স ও এমফিল শিক্ষার্থীকে এবং ৬ জন ডক্টরাল শিক্ষার্থীকে, যার মূল্যমান এক কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ইনোভেশন ফান্ড প্রকল্প পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম।