বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং পুঁজিবাজারে ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের’ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান তার কাছে নতুন করে মার্জিন চাইবে। এই মার্জিনের পরিমাণ এমন হবে যাতে তার ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের উপরে থাকে।
নগদ টাকা অথবা লেনদেনযোগ্য শেয়ার বা বন্ডে এই নতুন মার্জিন দেওয়া যাবে। মার্জিন জমা না হওয়া পর্যন্ত ওই বিনিয়োগকারীর হিসাবে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
পুঁজিবাজারে মন্দার মধ্যে ঋণ নিয়ে টাকা খাটিয়ে লোকসানে পড়া বিনিয়োগকারীদের দাবিতে ২০১৩ সালের এপ্রিলে মার্জিন রুলসের এই নিয়ম স্থগিত করা হয়।
এর ফলে মার্জিন ঋণের কারণে গ্রাহকের ইক্যুয়িটি ঋণাত্মক হয়ে গেলেও তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়।
প্রথমে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধার মেয়াদ ঠিক করা হলেও বাজার পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ না হওয়ায় এ পর্যন্ত কয়েক দফা তা বাড়ানো হয়েছে।