টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি লেছে, লাইসেন্স নবায়নের জন্য যথাসময়ে কমিশনে আবেদন না করায় এসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া লাইসেন্স বৈধতা হারিয়েছে।
সোমবার বিটিআরসি এ সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, এসব ভি-স্যাট লাইসেন্সের অধীনে কোনো কাজ হলে তা হবে অবৈধ এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এর মধ্যে ১০টি ভি-স্যাট ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান হল- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, স্টান্ডার্ট চাটার্ড ব্যাংক (ঢাকা-কাকরাইল), হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (ঢাকা), রয়েল ডেনিস অ্যাম্বাসি, ডিএইচএল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এক্সপ্রেস (বাংলাদেশ), ইয়ংগন হাইটেক স্পোর্টস ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড(চট্টগাম), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট পিচ সাপার্টো অপারেশন টেনিং, ইয়ং হাইটেক স্পোর্টস ওয়্যার ইন্ডাস্টি (ঢাকা), চরস লিভলিহুড প্রোগ্রাম এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (ঢাকা)
ভি-স্যাট প্রোভাইডার সাতটি প্রতিষ্ঠান হল- গ্লোবাকম সিস্টেমস এন্ড সলিউশন, রেডিয়েন্ট কমিউনিকেশন লিমিটেড, এক্স-ওয়েজ সফট লিমিটিড, দ্র্রুতি নেটওয়ার্ক লিমিটেড, এম/এস ট্রেসার ইলেকট্রোকম, এম/এস নিউ স্কাইস স্যাটেলাইট বি.ভি এবং এম/এস সিং টেল (সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড)।
এসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ভি-স্যাট লাইসেন্স নবায়নে আবেদন দাখিল বা লাইসেন্স নবায়নে আগ্রহী না হলে বিটিআরসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ সময়ের মধ্যে আবেদন দাখিল করা না হলে তা আর বিবেচনা করা হবে না বলে বিটিআরসি জানিয়েছে।
ভি-স্যাট (VSAT= Very Small Aperture Service) হল খুব ছোট আকারের সংযোগযন্ত্র যা দ্বিমুখী ভূ-উপগ্রহকেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। এর থালা আকৃতির অ্যান্টেনার ব্যাস ৩ মিটারের কম হয়, যেখানে অন্যান্য ধরনের উপগ্রহ কেন্দ্রের ব্যাস হয় প্রায় ১০ মিটারের মতো।
ভিস্যাট সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় বিক্রয়কেন্দ্রে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত লেনদেনের জন্য।
বর্তমানে প্রায় সব ভি-স্যাট ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক এবং এর বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে।