শুক্রবার ভারত সরকার সব ধরনের পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ২৫৫ ডলার থেকে বৃদ্ধি করে ৪৩০ ডলার নির্ধারণ করে।
রমজানে যখন পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকে, তখন ভারতের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা।
যশোরের আমদানিকারক ‘আহমেদ এন্টারপ্রাইজের’ ব্যবস্থাপক তুহিন সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুইশ’ পঞ্চান্ন ডলার মূল্যে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের বন্দরেই প্রতি কেজির দাম প্রকার ভেদে ২২/২৫ টাকা পড়ছিল।”
নতুন করে ৪৩০ ডলার মূল্যে আমদানি করলে কেজি প্রতি দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পড়বে বলে জানান তিনি।
“বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই অস্থিতিশীল। এখন দেশি পেঁয়াজের বাজার আবারো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
খুলনার পেঁয়াজ আমদানিকারক মিল্টন সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারত সরকার দ্বিতীয় দফা দাম বাড়ানোর ফলে আমাদের আমদানি ব্যয় আরো বেড়ে যাবে, যার প্রভাব দেশের পেঁয়াজ বাজারে গিয়ে পড়বে।”
রমজান শুরুর আগে গত মাসের শেষ দিকে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়ে যায়।
ভারতের রপ্তানিকারকরা বলছেন, তাদের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিমূল্য বাড়ানো হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এ্যান্ড ফরোয়াড়িং স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত মাস থেকে ভারতে পেঁয়াজের সঙ্কট চলছিল। দক্ষিণ ভারতের নতুন পেঁয়াজের আগমনও পেঁয়াজের মূল্য কমাতে পারেনি।
“ফলে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করে ভারতের স্থানীয় বাজার ঠিক রাখতেই সরকারের পরামর্শে পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ন্যাফেড।”
নতুন মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানির নির্দেশনা দিয়ে একটি ফ্যাক্স বার্তা রোববারই কলকাতা থেকে পেট্রাপোল এলসি স্টেশনে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কার্ত্তিক চক্রবর্তী।