শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবির তুলে ধরেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি ও ভারতে মূসকের হার কম হওয়ায় দেশের অলঙ্কার শিল্প হুমকির মুখে পড়বে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
৪ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে স্বর্ণ ও রৌপ্যকার, সোনা ও রুপা বিক্রির দোকান ও স্বর্ণ পরিশোধনকারীদের সঙ্কুচিত হারের মূসক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এনামুল বলেন, “পাঁচ-ছয় বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা ও রুপার দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মন্দার ফলে জুয়েলারি ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারাও মূল্য বৃদ্ধির ফলে অলঙ্কার ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।
“পাশের দেশ ভারতে জুয়েলারি শিল্পে ১ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান থাকায় এবং ভারতের ভিসাপ্রাপ্তি সহজলভ্য হওয়ায় এদেশের ক্রেতারা ভারত থেকে স্বর্ণালঙ্কার ক্রয়ে উৎসাহী হবে।”
উদাহরণ দিয়ে বাজুস সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ আমাদের দেশে বর্তমানে আরোপিত ভ্যাট অনুযায়ী একজন ক্রেতা ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার কিনলে তাকে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হবে। অন্যদিকে ভারত থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার কিনলে ভ্যাট দিতে হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা।”
আগের অর্থবছরেও মূসক বাড়ানোর ফলে অলঙ্কারের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
“জুয়েলারি শিল্পকে বাঁচাতে পাশের দেশের মতো ভ্যাট ১ শতাংশ থেকে দেড় শতাংশের মধ্যে আরোপ করা হলে ক্রেতারা ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত হবেন এবং জুয়েলারি শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।”