মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এক সার্কুলারে ইআরকিউ সীমা ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানায়।
রপ্তানিকারকরা যে রপ্তানি আয় করে তার একটি অংশ বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করতে পারে। ওই বৈদেশিক মুদ্রার হিসাবটি হচ্ছে ইআরকিউ হিসাব।
এই হিসাব থেকে রপ্তানিকারকরা বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রচার, লিয়োজোঁ অফিস খোলা, কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির খরচ মেটাতে পারে, যে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের আগাম অনুমোদন লাগে না।
এতদিন এই শ্রেণির রপ্তানিকারকরা রপ্তানি আয়ের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ রাখতে পারতেন। এই খাতে খাদ্য পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারকরা রয়েছেন।
সেবা খাতের রপ্তানিকারকরাও এই সুবিধা পাবেন।
এছাড়া যেসব রপ্তানি পণ্যে স্থানীয় মূল্য সংযোজন কম অর্থাৎ ৬০ ভাগের কম সেইসব পণ্যের রপ্তানিকারকরা এখন থেকে ইআরকিউ হিসাবে রপ্তানি আয়ের ১৫ শতাংশ রাখতে পারবেন, যা আগে ছিল ১০ শতাংশ।
এই খাতে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকরা রয়েছেন।
সংশ্লিস্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আহসান উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানিকারকদের বাজার সম্প্রসারণে সহযোগিতা করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে, রপ্তানি বাজার বড় হচ্ছে, রিজার্ভ পজিশন ভালো- সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ১৯ মে তারিখে ইআরকিউ হিসাবগুলোতে রপ্তানিকারকদের ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার স্থিতি ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে রপ্তানিকারকদের বেশি পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা জমানোর সুযোগ হল। তাতে টাকার মান একটু কমবে, এতে রপ্তানিকারকরা উপকৃত হবে।
পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংককে নোট ছাপিয়ে বাজার থেকে যে উদ্বৃত্ত বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে হয়, সেটাও অনেক কমবে।