মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।
পরে সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় ফুড সিকিউরিটি নিয়ে বিশেষ কথাবার্তা হয়েছে, অনেক কিছুরই তারা প্রশংসা করেছে।
“আমরা শ্রীলংকায় চাল রপ্তানি করেছি। আমরা নেপালে দুর্যোগের সময় ১০ হাজার টন চাল সহায়তা দিয়েছি। আমরা আফ্রিকার দেশগুলোতে চাল রপ্তানির বাজার খুঁজছি এই সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এসব উদ্যোগকে প্রশংসা করেছে।
“ফুড সিকিউরিটি ও সেফটি নিয়ে তারা আমাদের সাথে কাজ করছে এবং তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভবিষ্যতে আরো আন্তরিকতার সাথে কাজ করবে।”
বাংলাদেশ সরকারের চাল রপ্তানির এবং বাজারের সন্ধানের উদ্যোগকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রশংসা করেছেন বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা সরকারের মধ্যে চাল রপ্তানি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুসারে ৪৫০ ডলার ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করা হবে।
বাংলাদেশ সরকার ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানির অনুমোদন দিলেও প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টন আমদানি করছে শ্রীলংকা।
খাদ্যমন্ত্রী এর আগে জানান, বর্তমান আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪০০ থেকে ৪২০ ডলার। শ্রীলংকায় যে চাল রপ্তানি করা হবে তার উৎপাদন খরচ ৪৩৬ ডলার। এ হিসাবে প্রতি মেট্রিক টন চালে ১৪ ডলার করে লাভ থাকবে।
বাংলাদেশ প্রতি বছর স্বল্প পরিমাণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করলেও সরকারিভাবে বড় পরিসরে সেদ্ধ চাল রপ্তানি করে এই প্রথম। ফিলিপিন্সও সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে চাল ও আলু আমদানির আগ্রহের কথা জানিয়েছে।