সোমবার গুলশানে এরিকশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এরিকসন কনজ্যুমারল্যাবের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান আফরিজাল আব্দুল রহিম বলেন, সময়ের পরিবর্তনে মানুষ এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রযুক্তি সেবা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে। দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনগুলো মোবাইলের ব্যবহারের মাধ্যমেই সারতে চাচ্ছে তারা।
এরিকসন কনজ্যুমারল্যাবের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০১৪ সাল জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১ লাখ মোবাইল গ্রাহকের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয় বলে কোম্পানিটির দাবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৮ শতাংশ মোবাইলফোন ব্যবহারকারী বেচাকেনা ও সেবাখাতের মূল্য পরিশোধে মোবাইল ফোনকে কাজা লাগাতে চায়। ২০২০ সালের মধ্যে দৈনন্দিন লেনদেনের অর্থ বহনের জন্য (পার্স/ওয়ালেট) স্মার্টফোনকে কাজে লাগানো হবে বলে ৮০ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারীর অভিমত।
এরিকসনের হিসাব মতে, বাংলাদেশে প্রায় সব ব্যবহারকারীই মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানে, ৯৭ শতাংশ নতুন এই লেনদেন পদ্ধতিতে আগ্রহী এবং ৪ শতাংশ ব্যবহারকারী মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে থাকে।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আফরিজাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এক তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারী মোবাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ভিডিও দেখে, যে প্রবণতা ধীরে ধীরে বাংলাদেশি গ্রাহকদের মধ্যে দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশে মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ার পর এর জন্য উপযোগী স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এরিকশন বাংলাদেশের চিফ টেকনলোজি অফিসার আব্দুস সালাম, হেড অব মিডিয়া কমিউনিকেশন মেহনাজ কবির উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, মোবাইল কোম্পানিগুলো তাদের সরাসরি গ্রাহক হলেও মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি মোবাইল ব্যবহারকারী তাদের সেবা পেয়ে থাকেন। তাই তাদের পছন্দ অপন্দ ও প্রযুক্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের ভাবনাকে তারা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আর সেই ভাবনা থেকেই এ ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোবাইল সেবা নিয়ে কাজ করছে এরিকশন কনজ্যুমারল্যাব। বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশের এর শাখা রয়েছে।