পর্যটন সক্ষমতায় দ. এশিয়ায় ‘সবচেয়ে পিছিয়ে’ বাংলাদেশ

পর্যটন সক্ষমতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে পিছিয়ে আছে বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এ বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2015, 05:08 PM
Updated : 24 May 2015, 05:11 PM

প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্বের ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৭ তম।  ২০১৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৩ তম।

ভ্রমণ ও পর্যটন খাতকে ১৪টি স্তরে ভাগ করে প্রতি দুই বছর পর পর ‘দ্য ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কমপিটিটিভনেস রিপোর্ট’ তৈরি করে ডব্লিউইএফ।

২০১৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্যটন সক্ষমতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে ভারত। এক্ষেত্রে বিশ্বে ভারতের অবস্থান ৫২ তম,  শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৬৩, ভুটানের ৮৭, নেপালের ১০২ ও পাকিস্তানের ১২৫তম।

এ প্রতিবেদনে পর্যটন সক্ষমতায় এক নম্বরে আছে স্পেন। দুই নম্বরে ফ্রান্স, আর তিন নম্বরে আছে জার্মানি।

ডব্লিউইএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দুই বছরে সক্ষমতার সূচকে পেছানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সেবা ও আনুষঙ্গিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান নিচের দিকে। বেসরকারি উদ্যোগে কক্সবাজার, সিলেট ও চট্টগ্রামে বেশ কিছু হোটেল ও মোটেল তৈরি হলেও হোটেলকক্ষ প্রাপ্যতা ও সেবার মানে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪০তম।

পর্যটকদের গাড়ি ভাড়ার সুবিধার দিক দিয়ে ১০৫ এবং অর্থ লেনদেনে এটিএম সেবার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৪তম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসংখ্যার তুলনায় বিমানবন্দর সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১৩৯তম অবস্থানে। আর স্থলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার মানের সূচকে ১১৯তম।

বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে না পারার ক্ষেত্রে এ দুটিকে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য ঐতিহ্যবাহী সম্পদ ও বিজনেস ট্রাভেলের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম। আর হাসপাতালে আসনপ্রাপ্তি সূচকে অবস্থান ১২৫তম।

এদিকে বিদেশি পর্যটক টানতে দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করা হলেও এখনো এ বিষয়ে সরকারের কর্মপরিকল্পনা স্পষ্ট নয় বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

তারা বলছেন, দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের ‘মহাপরিকল্পনার’ অংশ হিসেবে সরকারের নেওয়া এই উদ্যোগের বিষয়ে তারা ‘কিছুই জানেন না’। ঘোষণার পর প্রায় তিন মাস পেরোতে চললেও পর্যটন বর্ষ উদযাপন নিয়ে সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপও নেই।