এফবিসিসিআই নির্বাচনে মাতলুব প্যানেলের জয়

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমাদ নেতৃত্বাধীন প্যানেল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2015, 05:18 AM
Updated : 25 May 2015, 12:57 PM

চেম্বার গ্রুপের ১৬টি পরিচালক পদের মধ্যে মাতলুবের ‘ব্যবসায়ী উন্নয়ন পরিষদ’ ১২টিতে জয়ী হয়েছে। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ১৬টি পরিচালক পদের মধ্যে এ প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১৩টি পদে।

আর ‘স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ’ থেকে চেম্বার গ্রুপে চারজন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন । চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী এ পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন।

এছাড়া মো. সাফকাত হায়দার চৌধুরী নেতৃত্বাধীন ‘ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল থেকে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। এরপর রাত সোয়া ১১টার দিকে চেম্বার গ্রুপ এবং রোববার সকালে অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার এম আলী আশরাফ।

নির্বাচিত পরিচালকদের বাইরে ১০টি করে বিশেষ চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে একজন করে মোট ২০ জন প্রতিনিধি এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে থাকছেন মনোনীত পরিচালক হিসেবে। মাতলুব আহমাদ ইতোমধ্যে রাজশাহী চেম্বার থেকে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মনোনীত হয়েছেন।

নির্বাচিত ও মনোনীত এই ৫২ পরিচালকই সোমবার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।

এই মেয়াদে চেম্বার গ্রুপ থেকে সভাপতি, অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে প্রথম সহ-সভাপতি ও চেম্বার গ্রুপ থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবে।

চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে ২৫ জন এবং নিজেরসহ মোট ২৬টি ভোট হাতে থাকায় মাতলুব আহমাদের এফবিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য তার ২৭ জনের ভোট পেলেই চলবে।     

মাতলুব ছাড়াও স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদের মনোয়ারা হাকিম আলী এবার সভাপতি পদের প্রার্থী।

শীর্ষ তিন পদে নির্বাচন হওয়ার পর এফবিসিসিআইয়ের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে ২৮ মে।

এবারের নির্বাচনে চেম্বার গ্রুপে প্রার্থী ছিলেন মোট ৩২জন। দেশের ৭৮টি চেম্বারের ৪৩৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪১৮ জন এবার ভোট দিয়েছেন।

আলী আশরাফ জানান, এ গ্রুপ থেকে নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে উন্নয়ন পরিষদের আমিনুল হক শামীম সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট।

এ প্যানেলের নির্বাচিত বাকি পরিচালকরা হলেন-দিলীপ কুমার আগারওয়াল (৩১৮ ভোট), গাজী গোলাম আশরিয়া (৩১২ ভোট), শেখ ফজলে ফাহিম (২৯৬ ভোট), নিজাম উদ্দিন (২৯৫ ভোট),  প্রবীর কুমার সাহা (২৮৫ ভোট), নূরুল হুদা মুকুট (২৬৪ ভোট), হাসিনা নেওয়াজ (২৫৫ ভোট), নাগিবুল ইসলাম দিপু (২৪৯ ভোট), বজলুর রহমান (২৪০ ভোট), মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার (২৩৯ ভোট) ও রেজাউল করীম রেনজু (২১৩  ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

আর ‘স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ’ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারা হাকিম আলী (২৯৩ ভোট),মাসুদ পারভেজ খান ইমরান (২৪৬ ভোট)ও তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটো (২৩৩ ভোট)।

বাকি একটি পরিচালক পদে সমান ভোট পেয়েছেন কোহিনুর ইসলাম ও মো. মাসুদ। তারা দুজনই মনোয়ারা হাকিম আলীর প্যানেলের প্রার্থী। দুজনই পেয়েছেন ২০৫ ভোট। 

তাদের বিষয়ে ‘নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী’ পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নির্বাচন কমিশনার আলী আশরাফ জানিয়েছেন।

অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে ১৬টি পরিচালক পদে এবার প্রার্থী ছিলেন ৩৩ জন। দেশের ৩৫৫টি ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের ১ হাজার ৭৬৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৫৩৩ জন।

এ গ্রুপে মাতলুবের উন্নয়ন পরিষদ প্যানেল থেকে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন হেলাল উদ্দিন (১০৯৩ ভোট), নিজাম উদ্দিন রাজেশ (১০৭৮ ভোট), মো. হারুন-অর রশিদ (১০৪৫ ভোট), শামীম আহসান (১০৩৮ ভোট), আবু মোতালেব (১০১৮ ভোট), মো. হাবিবুল্লাহ ডন (১০১২ ভোট), কে এম আখতারুজ্জামান (৯৭৬ ভোট), এম শোয়েব চৌধুরী (৯৭০ ভোট), মো. মুন্তাকিম আশরাফ (৯৬৭ ভোট), এম এম জাহাঙ্গীর হোসেন (৯৬৬ ভোট), মো. আবু নাসের (৯৫১ ভোট),  মো. আমিন হোলালী (৯০৪ ভোট) ও মো. শফিকুল ইসলাম ভরসা (৮৬৯ ভোট)

আর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে এই গ্রুপের পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন মো. আবুল আয়েস খান (৯৩৬ ভোট),  খন্দকার রহুল আমিন (৯০৬ ভোট) ও মো. শাফকাত হায়দার চৌধুরী (৮৯০ ভোট)।

এই গ্রুপে মনোয়ারা হাকিম আলীর প্যানেলের কোনো প্রার্থী ছিলেন না।