বৃহস্পতিবার মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, টেলিনর গ্রুপ এশিয়ার প্রবীণদের নিয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে, যাতে তারা মোবাইল ইন্টারনেটের প্রকৃত সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে উঠে এসেছে।
‘এশিয়ার সংযোগহীন প্রবীণ জনগোষ্ঠী’ শিরোনামে এই সমীক্ষার ক্রেতা সংক্রান্ত ডাটা/তথ্য টেলিনরের চারটি বাজার যথাক্রমে- ভারত, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া থেকে সংগৃহীত বলে জানায় গ্রামীণফোন।
সমীক্ষায় দেখা যায়, এই দেশগুলোর কোনো কোনোটিতে প্রবীণদের মধ্যে সক্রিয় মোবাইল ব্যবহারকারী মাত্র ২ শতাংশ এবং তাদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও কম।
বহুজাতিক টেলিনরের বাংলাদেশের কোম্পানি গ্রামীণফোন পর্যবেক্ষণ হলো- ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী গ্রাহক মাত্র ২ শতাংশ, যা গ্রামীণফোনের ৫ কোটি ২০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ১০ লাখ।
এদের মধ্যে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার সামগ্রিক ব্যবহারের তুলনায় অর্ধেকে নেমে গেছে। বয়স্ক মহিলাদের মধ্যে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার আরও কম।
৬৫ বছর বা এর অধিক বয়সী মহিলাদের মাঝে মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ মহিলা ডাটা ব্যবহার করে থাকেন, যার পরিমাণ একই বয়সী পুরুষদের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামগ্রিকভাবে বলা যায় ৬৫ বছর বা তার অধিক বয়সী বাংলাদেশী নাগরিক যারা এই সমীক্ষার আওতায় ছিলেন, তাদের মাত্র ১ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।
টেলিনরের এই একই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে এই বয়সী প্রবীণ সমাজের অধিকাংশই প্রাথমিক সুবিধা সম্বলিত ফোনই ব্যবহার করে থাকেন।
টেলিনর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এশীয় অঞ্চলের হেড অব অপারেশনস সিগভে ব্রেক্কে বলেন, “আমাদের ইন্টারনেট অফ অল লক্ষ্যের প্রেক্ষিতে এশীয় অঞ্চলের প্রবীন জনগোষ্ঠী মোবাইল ও ইন্টারনেটের প্রকৃত সুবিধার আওতার বাইরে থাকাটা টেলিনরের জন্য একটি উদ্বিগ্ন হবার মত ব্যপার।
“এশিয়ার কয়েকটি অঞ্চল যেখানে আগামীতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে মূলত সেই অঞ্চলগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে, যাতে শুধুমাত্র তরুণ জনগোষ্ঠী নয় সবার জন্য এ ধরণের মোবাইল যোগাযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়,” বলেন ব্রেক্কে।