২৩টি পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে ভারত

সাফটার তালিকাভুক্ত স্পর্শকাতর ২৩টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে ভারতকে রপ্তানি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2015, 01:52 PM
Updated : 18 May 2015, 02:05 PM

ভারতের বাণিজ্য সচিব রাজীর খেরের সঙ্গে সোমবার ঢাকায় বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে আসা রাজীব খের সকালে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

তোফায়েল বলেন, “আমরা ভারতকে সাফটা নির্ধারিত ২৩টি স্পর্শকাতর পণ্যের মার্কেট এক্সেস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া আরও ভালো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (সাফটা) ২২৫টি পণ্যকে স্পর্শকাতর পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করা আছে। চুক্তিকারী দেশগুলো এসব পণ্য তাদের দেশের বাজারে প্রবেশে নানান ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে।

ভারতকে ছাড় দেওয়া ২৩টি মধ্যবর্তী পণ্য বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রয়।

তবে কোন কোন পণ্য এর মধ্যে রয়েছে, তা জানা যায়নি।  

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারতের বর্তমান সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। সেজন্য তারা আঞ্চলিক বাণিজ্যও বাড়াতে চায়। আমাদের সাথে ভারতের ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট হয়েছে। তাতে আমরা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল, ভুটানে পণ্য পাঠাতে পারব।”

রাজীব খের বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কী ভূমিকা রাখতে পারে, সেসব নিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।

দুই দেশের বাণিজ্যিক সমস্যা দূর, বাজার প্রবেশাধিকার বাড়ানো, আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানো নিয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভারতের বাণিজ্য সচিব বলেন, তার দেশ আগামী পাঁচ বছরের জন্য যে বাণিজ্য নীতি চূড়ান্ত করেছে, তাতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য বাড়ানোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

‘রমজানে পণ্যমূল্য বাড়বে না’

আসন্ন বাজেট ও রমজানে পণ্যমূল্য বাড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কোন পণ্যের কী আমদানি ও মজুদ আছে, সেটা আপনারা বাংলাদেশ ব্যাংকে খবর নিলে জানতে পারবেন। দেশে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই, বরং উদ্বৃত্ত আছে। চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল সবই উদ্বৃত্ত মজুদ আছি।

“ফলে রমজান অথবা বাজেট কোনো কারণেই পণ্যমূল্য বাড়বে না। বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, থাকবে।”

পণ্যমূল্য যাচাই করার জন্য মাঝে-মধ্যে নিজে বাজার করতে যাওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নেন বলে তোফায়েল জানান।