সূচক পতনের টানা পঞ্চম দিন

আগের চার দিনের মতো সপ্তাহের প্রথম দিন সূচক-লেনদেন কমেছে বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2015, 11:28 AM
Updated : 26 April 2015, 03:02 PM

রোববার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৯৮ পয়েন্ট কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৫৮ পয়েন্ট।

রোববার ডিএসইতে ৩৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা কম।

ডিএসইতে এদিন মোট ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ২৪৮টির। ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দর ছিল অপরিবর্তিত।

দিনশেষে ডিএসইএক্স ৯৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

টাকার পরিমাণে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার, এসিআই, ওয়েষ্টার্ন মেরিন, শাশা ডেনিমস, এসিআই ফরমুলেশন, সাইফ পাওয়ার কেপিসিএল, ইফাদ অটোস, শাহাজীবাজার পাওয়ার ও গ্রামীণফোন।

সিএসইতে এদিন ৩৩ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৯ কোটি টাকা কম।

এ বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৫৮ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ২২৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারের মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৮১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এইমস অব বাংলাদেশের সিইও ইওয়ার সাইদ মনে করেন, এই টানা দরপতন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের ‘আস্থার অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ’।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাজারকে ভাল করার জন্য যেসব ‍কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল সেগুলো কাজ করেনি। এ বাজারে সবাই মাফ পেয়ে যায়। তাই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসেনি।”

আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনিরুজ্জামান বলেছেন, পুঁজিবাজারে এমন দরপতনের কোনো যৌক্তিক কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।

জে সি মজুমদার নামের এক বিনিয়োগকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে বিনিয়োগকারীরা ‍মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন, তারা লোকসানে পড়ায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আরও লোকসান ঠেকাতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এটাও দরপতনের কারণ হতে পারে।