২০১৪ সালে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৭১ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের বিনিয়োগ এসেছে, যা ২০১৩ সালে ছিল ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ৪৭ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা মোট বিনিয়োগের ৬৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদন তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সুইজারল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা। দেশটি থেকে ২০১৪ সালে ১২ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ডলারের বিনিয়োগ এসেছে।
এরপরই যুক্তরাজ্য থেকে বিনিয়োগ এসেছে ৫ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ডলারের।
এছাড়া বাহরাইন, বেলজিয়াম, কানাডা, জার্মানি, হংকং, আইসল্যান্ড, ভারত, জাপান, লুক্সেমবার্গ, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা ও সুইডেন এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সংস্থা আইএফসিও বিনিয়োগ করেছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেশ। এখানকার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সারা দুনিয়ায় কোথায় কি হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করে থাকে। এজন্য বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও তাদের বিনিয়োগ বেশি থাকা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা না থাকায় অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজারে এসে বড়মাত্রার দরপতনের সুবিধা নিয়ে ফিরে গেছে, তারা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে ২৯ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ডলার তুলে নিয়ে গেছে, যা আগের বছরের মোট বিনিয়োগের কাছাকাছি।
এর আগে ২০১৩ সালে ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার, ২০১২ সালে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ও ২০১১ সালে ২০ কোটি ৭০ লাখ ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মানের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা আর পুঁজিবাজারের শেয়ারের দামের নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে।