‘অযৌক্তিক শর্তের চাপে পোশাক খাত’

উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপসহ বিদেশি ক্রেতাদের দেওয়া কিছু অযৌক্তিক শর্তপূরণ করতে গিয়ে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2015, 06:03 PM
Updated : 12 April 2015, 06:03 PM

রোববার রাজধানীতে ‘পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও শিল্পকে এগিয়ে নিতে নিকট ভবিষ্যতে করণীয়’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই মত দেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা।

সভায় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ আতিকুল ইসলাম বলেন, “অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স পোশাক শিল্পের বড় চ্যালেঞ্জ। অত্যন্ত কষ্টের বিনিময়ে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি। বর্তমানে দেশের দুই হাজার ১০০ পোশাক কারখানার কি অবস্থা তা এখন ক্রেতারাও দেখতে পাচ্ছেন- এটা গর্বের বিষয়।

“এরপরও অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের নানা রকম শর্ত পূরণ করতে গিয়ে ব্যয় বাড়তে থাকায় সক্ষমতা কমছে। তার ওপর অতিরিক্ত ব্যাংক সুদ আরো সমস্যা করছে।”

বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “পৃথিবীর কোথাও অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম না থাকলেও আমরা বিশেষ কারণে সহযোগিতা করছি।

“কিন্তু তারা অযৌক্তিক শর্ত দিয়ে আমাদের বাধাগ্রস্ত করছে। আবার অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের শর্ত অনুযায়ী ঢাকার বাইরে শিল্প স্থানান্তরেও সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে না।”

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে পোশাক খাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।

এজন্য তিনি অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সঙ্গে যৌথ তহবিল করা গেলে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত পোশাক শিল্পে একদিকে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের নানা রকম শর্ত পূরণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। আবার অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানিতে সরকার অতিরিক্ত করারোপ করছে।

সব মিলে পোশাক খাত চাপের মধ্যে পড়েছে দাবি করে তা থেকে বেরিয়ে আসতে আগামী বাজেটে কর কমানোর পাশাপাশি সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার আহ্বান জানান তারা।

তারা বলেন, এসব সমস্যা সমাধান না করলে পোশাক শিল্পে প্রতিযোগী চীন ও ভারতের তুলনায় পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ।

তখন ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যপূরণ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।