চুক্তির মেয়াদ বাড়ল চার বিদ্যুৎকেন্দ্রের

ভাড়াভিত্তিক চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।

বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির চারটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন এবং একই সঙ্গে বর্ধিত মেয়াদের ট্যারিফও অনুমোদন করা হয় সভায়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘এনার্জি প্রিমা লিমিটেড’ পরিচালিত তিনটি গ্যাস ভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র - ‘বগুড়া ২০ মেগাওয়াট, কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট এবং শাহজীবাজার ৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে’র চুক্তির মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানো হয়েছে।

‘ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্স লিমিটেড’ পরিচালিত ‘ভোলা ৩৪.৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়েছে।

প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা হিসেবে এগুলোর বর্ধিত মেয়াদের ট্যারিফ হচ্ছে যথাক্রমে ২ টাকা ৭১ পয়সা, ২ টাকা ৮৯ পয়সা, ২ টাকা ৯৮ পয়সা ও ৩ টাকা ৪৮ পয়সা বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জোনে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। এতে ব্যয় হবে ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে ‘ফিচনার-ইউডিএস’।

কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়। ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স হাল্লা-এমএএইচ-সিও কং জেভি’।

এতে ব্যয় হবে ৫৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদিত প্রস্তাবে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭৬.৯০ ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে  ১১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

দুটি প্যাকেজে এ কাজটি পেয়েছে মেসার্স প্রোটন ট্রেডিং ও দেশ ট্রেডিং লিমিটেড।

সভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের সেতু ও সড়ক নির্মাণের চারটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পের সেতু নির্মাণ কাজের প্যাকেজ নং বি-১-এর আওতায় ইলিয়টগঞ্জ সেতু (২৮.৬০ মিটার), কুমিল্লা রেল ক্রসিংয়ের উপর ওভারপাস (৩৪৪.১৭৫ মিটার), ফেনী রেল ক্রসিংয়ের উপর ওভারপাস (৮৬.৪৪২ মিটার) নির্মাণ চুক্তির ভেরিয়েশন অর্ডার-১-এর নির্মাণ ব্যয় কমে বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২১৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আগে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজের প্যাকেজ নং ৩-এর আওতায় কুমিল্লা বাইপাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ চুক্তির ভেরিয়েশন অর্ডার-১-এর নির্মাণ ব্যয় কমে বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৭১ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

একই প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজের প্যাকেজ নং ৬-এর আওতায় মহীপাল বাজার থেকে ধূমঘাট সেতু পর্যন্ত ১৯.৯১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়ক নির্মাণ চুক্তির ভেরিয়েশন অর্ডার-১-এর নির্মাণ ব্যয় কমে বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৪৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।

প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজের প্যাকেজ নং ৭-এর আওতায় ধূমঘাট থেকে মীরেরসরাই বাজার পর্যন্ত ১৫.৬৬৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ চুক্তির ভেরিয়েশন অর্ডার-২-এর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। আগে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।