ইয়েনের দরপতনে বেড়েছে জাপানি গাড়ির আমদানি

জাপানি মুদ্রার দরপতনের সুবিধা নিতে দেশে পুরনো গাড়ি আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2015, 01:35 PM
Updated : 31 March 2015, 01:35 PM

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ব্যাপকসংখ্যক রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বন্দর থেকে খালাস না করতে পেরে বিপত্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশে পুরনো গাড়ির আমদানিকারক ও পরিবেশকদের সমিতি বারভিডার তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে জাপান থেকে পাঁচ হাজার ৬৫৫টি পুরনো গাড়ি আমদানি হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে জাপান থেকে প্রায় দুই হাজারটি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করা হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, একবছরে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের প্রায় ১৮ শতাংশ দরপতনের ফলে মুদ্রার বিনিময় হারের হিসেবে কম দামে গাড়ি কেনার সুবিধা নিয়েছেন।

বারভিডার মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রপ্তানি উৎসাহিত করতে জাপান সরকার মুদ্রার মানের অবমূল্যায়ন করায় সেখানে পণ্যের দাম কমেছে। এদিকে টাকার বিপরীতে ডলারের দামও কমেছে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চে এক ইয়েনের দাম ছিল ৭৬ পয়সা, অর্থাৎ ৭৬ টাকায় মিলত ১০০ ইয়েন। বর্তমানে জাপানি ১০০ ইয়েনের বিপরীতে ব্যবসায়ীদের ৬৫ টাকা খরচ হচ্ছে।

এই হিসেবে আগের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ কম দামে জাপানি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কিনতে পাচ্ছেন আমদানিকারকরা।

শুধু তাই নয় বিদেশি মুদ্রা টাকায় রূপান্তরের পর গাড়ির মূল্যের উপর শুল্ক নির্ধারিত হওয়ায় সেখানেও সুবিধা পাচ্ছেন আমদানিকারকরা।  

বারভিডা মহাসচিব বলেন, “ইয়েন থেকে ডলার এবং তা থেকে টাকায় রূপান্তরের পর ওপর শুল্ক নির্ধারণ করে কাস্টমস। যে কারণে ইয়েন, ডলারের দাম কমায় আমাদের আমদানি শুল্ক কম দিতে হচ্ছে।

“যেহেতু আমদানি শুল্ক কম দিতে হচ্ছে, তাই মুদ্রার বিনিময় হারের এই প্রবণতা আমদানিকারকদের জন্য ইতিবাচক।”

এদিকে বিএনপি জোটের অবরোধ চললেও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য গত সপ্তাহ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামকে হরতালের আওতামুক্ত রাখায় বন্দরে আটকে থাকা গাড়ি দ্রুত খালাসে তৎপর হয়ে উঠেছেন আমদানিকারকরা।

গত ২৪ মার্চের হিসাব অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে তিন হাজার ৩১টি এবং মংলা বন্দরে চার হাজার ৭৯৭টি জাপানি পুরনো গাড়ি খালাসের অপেক্ষায় ছিল।

সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে আটকে থাকা গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত করাসহ বেশকিছু সুবিধা চেয়েছেন বারভিডা নেতারা।

এছাড়া ডেমারেজ চার্জ ও ঋণের সুদ মওকুফ এবং ঋণ পরিশোধেও সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।