ক্ষতি পোষাতে প্রণোদনা চান গাড়ি ব্যবসায়ীরা

বিএনপি জোটের ডাকা অবরোধ-হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নিলাম স্থগিত ও সুদ মওকুফ করাসহ সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রণোদনা চেয়েছে পুরনো গাড়ির আমদানিকারকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 04:24 PM
Updated : 30 March 2015, 04:24 PM

সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সভাপতি এম এ হামিদ শরীফ ও মহাসচিব মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর বক্তব্য রাখেন।

লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুল বলেন, গত তিন মাসের টানা অবরোধ-হরতালের কারণে বারভিডার সদস্য ব্যবসায়ীদের সাত হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

“চট্টগ্রাম বা মংলা বন্দর থেকে আমদানি করা গাড়ি খালাস করে নিয়ে আসার জন্য চালক পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া আগুন বা সহিংসতার ভয় তো আছেই। এজন্য বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা গাড়ির বহর দীর্ঘ হচ্ছে।”

তিনি জানান, গতবছরের ডিসেম্বর থেকে ২৫ মার্চ পর‌্যন্ত তিন মাসে ৫ হাজার ৬৫৫টি গাড়ি আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ মার্চ পর‌্যন্ত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে মোট সাত হাজার ৮২৮টি গাড়ি খালাসের অপেক্ষায় ছিল।

বারভিডা মহাসচিব বলেন, “এজন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা ডেমারেজ চার্জ গুনতে হচ্ছে।”

এছাড়ারও রাজস্ব বোর্ড অনেক গাড়িকে নিলামের তালিকাভুক্ত করে ফেলায় আমদানিকারকরা বিপত্তির মধ্যে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

 “এই পরিস্থিতিতে বন্দর চার্জ ও নিলাম এবং ব্যাংক খাতে সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না।”  

লিখিত বক্তব্যে বারভিডা মহাসচিব উল্লেখ করেন, ব্যাংক ঋণসহ বারভিডা সদস্যদের মোট বিনিয়োগ চার হাজার কোটি টাকা।

মোট বিনিয়োগ চার হাজার কোটি টাকা হলে ক্ষতি কীভাবে সাত হাজার কোটি টাকা হয় তা জানতে চাইলে বারভিডা সভাপতি এম এ হামিদ শরীফ বলেন, “আমাদের বিনিয়োগ চার হাজার কোটি টাকা ঠিকই। কিন্তু টাকা তো রোলিং হয়, তখন এটা বাড়ে। সেই হিসাবে ক্ষতি হয়েছে সাত হাজার কোটি টাকা।”

বন্দরে একটি গাড়ির জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে উল্লেখ করে শরীফ বলেন, পোর্ট ড্যামারেজ, ব্যাংক ঋণের সুদ, শো-রুম ভাড়া ও বেতন-ভাতা মিলে এই ক্ষতির হিসাব করা হয়েছে।