সোমবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘ডেনিম পণ্যের উন্নয়ন সম্ভাবনা এবং এগিয়ে যাওয়া’ শিরোনামে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে জার্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জিআইজেড।
আলোচনায় ডেনিমস অ্যান্ড জিনস ডটকম বাংলাদেশ শো এর উদ্যোক্তা সন্দ্বীপ আগারওয়াল বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ডেনিম, জিন্স, কটন, ফেব্রিকস ও গার্মেন্টস প্রডাকশনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে। বিশ্বের বৃহৎ অ্যাপারেল বাজারগুলোতে তা সাফল্যের সাক্ষর রাখছে।
সিঅ্যান্ডএ- এর রিজিওনাল সাস্টেনিবিলিটি ম্যানেজার কাজী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পৃথিবীর মোট কাপড় উৎপাদনে মাত্র ১ শতাংশ অর্গানিক। পরিবেশবান্ধব কটন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্গানিক কটন উৎপাদনে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়াতে হবে।
ডিজেল, রিপ্লের মতো ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা আদ্রিয়ানো গোল্ডস্কিমড বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অ্যাপারেল মার্কেটে সাফল্যের সাক্ষর রাখছে। বাংলাদেশের উৎপাদকারীদের বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে সময়ের সাথে ভোক্তাদের ফ্যাশন ও চাহিদাকে মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করতে হবে।
জিআইজেড- এর পরিবেশ উপদেষ্টা জাহিন রহমান বলেন, পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুনাফার পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও কাজের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
এনভয় টেক্সটাইলের সিইও তুষার ত্রিপাঠি বলেন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দিলে তা ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি এবং উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সহ সহভাপতি এবং জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুখ হোসেন।
আলোচনায় আরো অংশ নেন ইতালিয়ান ডিজাইনার পাইরো টার্ক।
এছাড়া ভিকুনা ইউরোপ- এর সিইও টমাস ডিসলিচ, হ্যান্টসম্যান প্রতিনিধি অভিষেক জেনসহ তৈরি পোশাক কারখানার মালিক, ব্র্যান্ড, টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ এবং কেমিক্যাল সরবরাহকারী, জিআইজেড প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সোম ও মঙ্গলবার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে দুই দিনব্যাপী ডেনিম পণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার ছিল সমাপনী দিন।