গিরিধারীর ছেলের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় এনবিআর

কর ফাঁকি এবং মুদ্রা পাচার মামলার আসামি আলোচিত মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী গিরিধারী লাল মোদীর ছেলে দিলীপ কুমার মোদীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছেন রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2015, 07:17 AM
Updated : 3 March 2015, 07:17 AM

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সম্প্রতি এ বিষয়ে  ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে গতবছর ফেব্রুয়ারিতে গিরিধারী লাল মোদীর সম্পদের হিসাবও চাওয়া হয়েছিল।

উত্তরা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক গিরিধারীর বিরুদ্ধে হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ বহু পুরনো। তার ছেলে দিলীপও এই গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।   

সিআইসির চিঠিতে দিলীপ কুমার মোদির সঙ্গে অলঙ্কার ব্যবসায়ী পবন কুমার আগারওয়াল ও জুলফিকার হায়দার নামে দুই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।

পবন কুমার রাজধানীর গুলশান-২ এর পিংক সিটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় গীতাঞ্জলী জুয়েলার্সের মালিক।

চিঠিতে তাদের একক বা যৌথ নামে থাকা মেয়াদী আমানত হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি হিসাব, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, ভল্ট, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যে কোনো ধরনের ‘সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্টে’ ২০০৭ সালের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত হালনাগাদ হিসাব চাওয়া হয়েছে।

গিরিধারী লাল মোদী

সাধারণত কর ফাঁকি বা সম্পদ গোপন করার সন্দেহ থেকেই সিআইসি ব্যাংক হিসাবের খবর নিয়ে থাকে বলে এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান।

আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংকের মাধ্যমে তিন কোটি ৪৫ লাখ ১৩ হাজার ১২০ টাকা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগে ২০০৭ সালে দিলীপের বাবা গিরিধারী লাল মোদীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

পরের বছর কর ফাঁকির অভিযোগে উত্তরা স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিরিধারী ও কোম্পানির পাঁচ পরিচালকের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলাও করেছিল এনবিআর। দিলীপও ওই মামলার আসামি।   

২০০২-২০০৩ থেকে ২০০৬-২০০৭ করবর্ষ পর্যন্ত কোম্পানির ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৩৮ হাজার ২২৫ টাকার আয় গোপন করে এর ওপর প্রযোজ্য ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৪০ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।