গত বুধবার থেকে চাকরিচ্যুত ৭০ জন শ্রমিক-কর্মচারী মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে কারখানার সামনে অবস্থান নেয়।
শুক্রবার রাতে সোহেল রানা নামে এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতি, সমবায়ী গো-খামারী ও ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা একাত্মতা প্রকাশ করে।
শ্রমিক-কর্মচারীরা মিল্কভিটার মূল ফটকে অবস্থান করায় ওই দিন থেকেই মিল্কভিটার দুধবাহী ট্যাংকার ও কাভার্ড ভ্যান কারখানার ভেতরে ঢুকতে ও বাইরে যেতে পারছে না।
আন্দোলনকারী শ্রমিক শফিকুল ইসলাম স্বপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৪ দলীয় জোট সরকার আমলে নিয়োগকৃত ৪০০ শ্রমিক-কর্মচারীকে অতিরিক্ত আখ্যা দিয়ে ১/১১ এর সময় ছাঁটাই করা হয়। এদের মধ্যে সিংহভাগ শ্রমিক কর্মচারীরা পর্যায়ক্রমে চাকরি ফিরে পেলেও ৭০ জন শ্রমিক-কর্মচারী এখনও চাকরি ফিরে পায়নি।
“তাই চাকরি ফিরে পাওয়ার এক দফা দাতিতে বুধবার বিকেল থেকে মিল্কভিটার মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছি।”
মিল্কভিটার পরিচালক নজরুল ইসলাম নকীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অবস্থান কর্মসূচির কারণে মিল্কভিটা কারখানায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। কারখানায় খামারীদের দুধ সংগ্রহ হলেও শুক্রবার বিকেলে প্রায় ৫০ হাজার লিটার দুধবাহী লরি ঢাকায় যেতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার সকালেও লক্ষাধিক লিটার দুধ সংগ্রহ করা হলেও তা এখনো ঢাকায় পাঠাতে দেয়নি আন্দোলনকারীরা।