রোববার ইস্কাটনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে সারা দেশে ৭০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আমরা প্রতি উপজেলাতে একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করতে চাই। ইইউ রাষ্ট্রদূত আমাদের কথা দিয়েছেন যে, এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো তৈরিতে তারা অর্থায়ন করবে।”
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অবৈধ অভিবাসন ঘটে বলে বাইরে একটি ধারণা রয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আমরা কোনোভাবেই অবৈধ অভিবাসনের পক্ষে নই। বর্তমানে বিশ্বের ১৬০টি দেশে আমাদের প্রায় ৯০ লাখ কর্মী কাজ করছেন।
“আমরা বলেছি, আপনারা আমাদের ডিমান্ড পাঠান, আমরা সে অনুসারে কোন সেক্টরে কি পরিমাণ শ্রমিক লাগে পাঠাবো।”
কাতারে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা
সোমবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে শ্রমিক পাঠানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করতে সফরে যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক তার সফরসঙ্গী হবেন।
এবিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে সেখানে প্রচুর কর্মী প্রয়োজন। আমরা বৈধভাবে কাতারে শ্রমিক পাঠানোর জন্য সে দেশের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবো।
“সরকারের পদক্ষেপের কারণে ভিসা ট্রেডিং বন্ধ হওয়ায় কম অভিবাসন ব্যয়ে এদেশের মানুষ বিদেশে কাজ করতে যেতে পারছেন। এ বিষয়টি নিয়ে কথা হবে যাতে কম অভিবাসন ব্যয়ে সেদেশে শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হয়।”
এছাড়া কোন খাতে কি পরিমাণ কর্মী পাঠানো যাবে সেটির ধারণাও নিয়ে আসার কথা জানান মন্ত্রী।