শনিবার বনানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবুজ অর্থায়নের (গ্রিন ফিন্যান্স) সঙ্গে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক তিনটি নতুন সহ ৪৭টি সবুজ পণ্য (গ্রিন প্রোডাক্ট) এবং তৈরি পোশাক শিল্পের একটি পণ্যের ক্ষেত্রে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করেছে।”
“সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ২০১৬ সালের মধ্যে তাদের মোট অর্থায়নের অন্তত ৫ শতাংশ পরিবেশবান্ধব শিল্পে দিতে বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের খাত। এই খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করছে, যার শতকরা ৮০ ভাগই নারী।”
“এরপরেও এ খাতটি নগরায়ন, ভূমির ব্যবহার, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং নিরাপদ পরিবেশের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। উদাহরনস্বরুপ টেক্সটাইলের ডায়িং এবং ফিনিশিং ইউনিটগুলোতে প্রচুর পরিমানে পানি অপচয়ের ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও এ থেকে যে বিষাক্ত উপাদান বের হচ্ছে, তা ভূগর্ভস্থ পানি এবং উপরিভাগের পানিকে দূষিত করছে। যার কারণে প্রতিটি জীবিত প্রাণীর জীবণ হুমকির মুখে পড়ছে।”
এসব প্রতিবন্ধকতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে, বিশেষ করে স্থানীয় সরকার, সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে নিয়ে সঠিক নীতি ও কর্মপন্থা তৈরি করতে হবে বলে জানান গভর্নর আতিউর।”
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী আবরার এ আনোয়ার প্রমুখ।