বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুল এসকেয়ার এবং লেদার গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন।
তোফায়েল বলেন, “চামড়া খাতের ব্যবসায়ী নেতারা আমাকে জানিয়েছেন, হরতাল-অবরোধে তাদের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত পণ্য সরবরাহও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে বিদেশি ক্রেতাদের অর্ডারের গতি কিছুটা শ্লথ হওয়ার ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।”
পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতারাও একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন বলে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, “এটাই স্বাভাবিক যে বিদেশি ক্রেতারা পণ্যের অর্ডার দেওয়ার সময় বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখবেন।”
গত ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধের প্রথম ১৬ দিনে সাড়ে ৩৬ হাজার টাকার বাণিজ্যিক ক্ষতি হয়েছে বলে সম্প্রতি একটি ব্যবসায়ী সংগঠন হিসাব দেখায়।
তোফায়েল বলেন, “অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স পোশাক কারখানা পরিদর্শনের পর যখন বাংলাদেশের ওপর ক্রেতাদের আস্থা ফিরে এসেছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রপ্তনি অর্ডার আসছে, সেই মুহূর্তে জ্বালাও-পোড়াও ও সংহিস কার্যকলাপ বিদেশিদের কাছে ব্যাড সিগন্যাল।”
এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি ব্যাহত হবে বলেও মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিএনপিকে ‘সন্ত্রাস, জঙ্গি ও নাশকতার রাজনীতি’ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, “হরতাল-অবরোধ রাজনৈতিক অধিকার হলেও গাড়ি পোড়ানো, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ কোনো রাজনীতি নয়।”
তবে শিগগিরই সবকিছু ‘স্বাভাবিক হয়ে আসবে’- এমন আশা প্রকাশ করে তোফায়েল বলেন, তখন বিদেশি ক্রেতাদের ক্রয় আদেশও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৭ মার্চ ডেনমার্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা আসছেন বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে ডেনমার্ক বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র মনে করছে।”
বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের বাণিজ্যের পরিমাণ ২০০৪-০৫ অর্থবছরের ১০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৭০ কোটি ডলার হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
আগামীতে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।