দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিতে নির্দেশনা

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হিসাব খোলা ও পরিচালনায় আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে গ্রাহক শনাক্তকরন এবং বাহকের চেকে বিশেষ পিন নম্বর ব্যবহারে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2015, 03:33 PM
Updated : 21 Jan 2015, 04:53 PM

একইসঙ্গে প্রতিবন্ধীদের সেবা সংক্রান্ত বিষয় প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়।

এতে ইতোপূর্বে প্রতিবন্ধীদের জন্য দেওয়া নির্দেশনার পাশাপাশি নতুন কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক সার্কুলারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রতিটি শাখায় একজন করে অফিসার (ফোকাল পার্সন) নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সদস্য জারি হওয়া সার্কুলারে ওই নির্দেশনার পাশাপাশি নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো প্রতিবন্ধী গ্রাহক বিশেষভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে গ্রাহক শনাক্তকরন, বাহককে দেওয়া চেকের জন্য বিশেষ পিন নম্বর ব্যবহার এবং প্রতিবন্ধীদের ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ উদ্বুদ্ধ করতে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা সহজ করার বিষয়টি প্রচারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এছাড়া সব প্রতিবন্ধী জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুকূলে ১০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন।

এর আগে ন্যূনতম জমায় ব্যাংক হিসাব খোলার বিষয়ে ২০১১ সালের ১৯ জুন এক সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ওই সার্কুলার অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও পিপিও (পেনশন পেমেন্ট অর্ডার) নম্বর সম্বলিত ভাতা পরিশোধ বইয়ের বিপরীতে ১০ টাকা জমা করে নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারতেন।

এছাড়া প্রতিবন্ধীদের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিল’-এর নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন ও সংযোজন করার কথা জানানো হয়েছে নতুন সার্কুলারে।

এর ফলে সব প্রতিবন্ধী এসএমই উদ্যোক্তারা ১০ শতাংশ সুদে (ব্যাংক রেটের সঙ্গে ৫ শতাংশ যোগ করে) শতভাগ (তহবিল পর্যাপ্ততা সাপেক্ষে) পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পায়।

পুনঃঅর্থায়নের সীমা সর্বনিম্ন দশ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা।

নতুন সার্কুলারে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুসরন করে ওই তহবিলের আওতায় ঋণ প্রদান কার্যক্রম সম্প্রসারিত ও উৎসাহিত করতে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীসহ সব প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যাংকগুলোকে তাদের বার্ষিক কার্যক্রমে সহায়ক কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।