অবরোধ-হরতালের প্রভাব ‘নেই’ মংলা বন্দরে

অবরোধ ও হরতালের কোনো প্রভাব মংলা সমুদ্র বন্দরে পড়েনি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2015, 10:25 AM
Updated : 21 Jan 2015, 10:25 AM

বুধবার সকাল থেকে জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে বলেও জানান তারা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নেতাকর্মীদের ‘হত্যা’ ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বুধবার সকাল থেকে ঢাকা ও খুলনা বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার মো. হাসান জানান, বন্দরে বর্তমানে ইউরিয়া সার, ক্লিংকার, এলপিজি গ্যাস ও কয়লাসহ মোট ১০টি জাহাজ অবস্থান করছে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিদিনের মতোই মংলা বন্দর স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে বন্দরে অবস্থান নেওয়া জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠানামার কাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে।”

বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানান, হরতালে নিরাপত্তার কারণে বাগেরহাট জেলা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে, কম করে হলেও বাগেরহাট-খুলনাসহ অভ্যন্তরীণ ১৬টি রুটে পরিবহন চলাচল করছে।  

বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান মনির হোসেন বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়া বাগেরহাট জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় একটু কম চলছে।

স্থানীয়রা জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনজীবনে ব্যস্ততাও বেড়েছে ক্রমান্বয়ে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য দোকানপাট খোলা অন্যান্য দিনের মতো। হরতালকারীদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

হরতালে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে বাগেরহাট শহরসহ আশপাশের উপজেলাগুলো এবং বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের মোট ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিতুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর শেখ, মংলা পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদ রিয়াদ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।