অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহারে গ্রাহকের খরচ বাড়ল

এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করলে প্রযোজ্য খরচের পুরোটাই গ্রাহকের পকেট থেকে নেওয়ার উদ্যোগ থেকে সরে এল বাংলাদেশ ব্যাংক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2015, 01:51 PM
Updated : 20 Jan 2015, 01:51 PM

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রতি লেনদেনের ১৫ টাকা সেবামূল্য কাটা হবে গ্রাহকের হিসাব থেকে; আর পাঁচ টাকা দেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ।  

অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুললে বুথের মালিক ব্যাংককে ২০ টাকা চার্জ বা ফি দিতে হয়। এতদিন এর অর্ধেক কাটা হতো গ্রাহকের হিসাব থেকে, বাকি অর্ধেক দিত তার ব্যাংক।

তবে ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংকার্স সভায় ২০ টাকার পুরোটাই গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়ার দাবি তোলেন ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীরা। সে অনুযায়ী সভায় ঠিক হয়, অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহারে পুরো টাকাই গ্রাহককে দিতে হবে।

এ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা তাদের এ দাবির বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল। পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগও ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছিল।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর আতিউর রহমান টাকা কাটার নতুন হার ঠিক করে এই সার্কুলার জারির নির্দেশ দেন।

এদিকে, এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে জমার পরিমান জানতে চাইলে মূল্য সংযোজন করসহ পাঁচ টাকা এবং মিনি স্টেইটমেন্ট নিলে ভ্যাটসহ পাঁচ টাকা কার্ডধারী ব্যাংক এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে পরিশোধ করতে হবে।    

এই চার্জ গ্রাহকের ব্যাংক চাইলে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ রয়েছে।

নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি কমিয়ে কার্ডের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনটি ব্যাংক নিয়ে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনপিএস) চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে ৩১টি ব্যাংক এনপিএসের আওতায় রয়েছে। এসব ব্যাংকের বুথে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজারটি লেনদেন হচ্ছে; গড় লেনদেনের পরিমান প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে এনপিএসের মাধ্যমে ৩১ ব্যাংকের গ্রাহক ১০৪ কোটি টাকা তুলেছেন।