শ্রমিক অসন্তোষ নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে দেশে এখন আর শ্রমিক অসন্তোষ নেই দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, একটি বিশেষ চক্র শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2014, 12:25 PM
Updated : 13 Dec 2014, 12:49 PM

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বিকেএমইএর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, “দেশে এখন আর শ্রমিক অসন্তোষ নেই। তবে কারখানায় কাজ করে না, এমন একটি চক্র নেতৃত্ব দিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

“তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড পোশাকখাতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের উদ্দেশ্য হাসিল করছে।”

বিকেএমইএ'র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বক্তব্য রাখেন।

নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকা ছাড়াও ইতিমধ্যে নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়া, জাপান ও মালয়েশিয়ায় পোশাক রপ্তানি হচ্ছে।

কোরিয়ায়ও নতুন বাজার সৃষ্টি হতে চলেছে বলে জানান তিনি।

সরকারের পক্ষ থেকে নিটওয়্যারখাতে বিভিন্ন প্রণোদনা পাওয়ার কথা স্বীকার করে সেলিম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের শিল্পকারখানাগুলোতে এখনো পানি, বিদুৎ ও গ্যাস সংকট রয়ে গেছে।

এ কারণে ৪০ শতাংশ উৎপাদন ব্যাহত হয় বলে নিজেদের এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল ও পোশাক কারখানার নিরাপত্তার সুবিধায় একটি অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি তোলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই ওই এলাকায় হাসপাতালসহ আধুনিক শিল্পাঞ্চল গঠন করা হবে।

নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে তিন নদীর মোহনায় প্রায় এক হাজার বিঘা আয়তনের শান্তিচরে নিটপল্লী স্থাপনে বিকেএমইএর প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলে তার জন্য তিন কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান।

বক্তব্য পর্ব শেষে ‘গ্লোবাল বায়ার্স ইনফরমেশন ডিরেক্টরি’ নামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

বিকেএমইএ’র উদ্যোগে প্রকাশিত এই বইয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোর পাশপাশি ল্যাটিন আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জ এবং এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের সম্ভাবনাময় দেশগুলোর আমদানি পরিসংখ্যান, প্রধান আমদানি পণ্যের তালিকা, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি মূল্য বৈচিত্র্য এবং আমদানিকারকদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।

বিকেএমইএ জানায়, ২১০০ পৃষ্ঠার এই বই এ যাবৎকালে বাংলাদেশে প্রকাশিত সবচেয়ে বড় বাণিজ্য তথ্য সম্বলিত প্রকাশনা। এতে পৃথিবীর ১৬০টি দেশের ২৫ হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক ক্রেতার ঠিকানা রয়েছে।