সুনীল বোস বলেন, “নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়া চলছে, আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে এ নিরীক্ষা শুরু করতে পারব।”
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার পর দুটি করে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নিরীক্ষা শুরু হবে বলে জানান তিনি।
দুবছরেরও বেশি সময় পর গত ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল অপারেটরদের হিসাব নিরীক্ষার জন্য আগ্রহী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আগ্রহপত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিটিআরসি।
২০১১ সালে দেশীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে হিসাব নিরীক্ষা করায় মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো নিরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গেলে নিরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিটিআরসির নথির সঙ্গে অপারেটরদের আমদানি যন্ত্রপাতির দাম যাচাই করে দেখবে। এছাড়া বিটিআরসি ও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অপারেটরদের দেয়া প্রকৃত রাজস্ব হিসাব ঠিক আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে।
অপারেটরদের ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট যাচাইও নিরীক্ষার অংশ থাকবে।
২০১১ সালে ৩ অক্টোবর দেশীয় একটি কোম্পানি নিরীক্ষা করার পর গ্রামীণফোনের কাছে তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেয় বিটিআরসি।
গ্রামীণফোন দেশীয় ওই নিরীক্ষার ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন তোলে। এরপর ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করতে প্রতিষ্ঠানটি আদালতে আবেদন করে।
২০১১ সালের ২০ অক্টোবর গ্রামীণফোনকে দেওয়া বিটিআরসির চিঠির ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ দেয় হাইকোর্ট।
এঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক কোম্পানি দিয়েই নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়ে আসছিলো মোবাইল অপারেটররা।