সোমবার রাজধানীর বনানীতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সরকার, সিভিল সোসাইটি ও প্রাইভেট সেক্টরের ত্রিমুখী আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে।
“এছাড়া গার্মেন্টস খাতে কর্মরত ৪০ লাখ নারী-পুরুষ কর্মীর ভাগ্য বদলাতেও একই ধরনের উদ্যোগ জরুরি।”
বাংলাদেশে চারদিনের সফরে এসে তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলো পরিদর্শন শেষে পিটার আইগেন নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে।
তিনি বলেন, “ট্রান্সপারেন্সি কেবলমাত্র সমাজের সাধারণ মানুষের পক্ষে দুর্নীতি কিংবা চলমান সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক উদ্যোগও।”
১৯৯৩ সালে জার্মানের বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআই প্রতিষ্ঠা করেন পিটার। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন শেষে এখন আছেন সংস্থার উপদেষ্টা কমিটির চেয়ার হিসেবে।
সমাজ ও প্রশাসন থেকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করার পর ২০০৫ সালে শিল্পকারখানার অনিয়ম দুর্নীতি বিরোধী অভিযান এক্সট্রাকটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (ইআইটিআই) প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এছাড়া ২০১৩ সালে শুধু তৈরি পোশাক কারখানায় কাজের ‘স্বচ্ছতা’ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠা করেন দ্য গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ বা জিআইটিআই।
সংবাদ সম্মেলনে পিটার বলেন, “দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এখানে কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার কারণে তা পুরোপুরি সুফল দিচ্ছে না।”
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জান বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন ও নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাঝে টিআইবি নাগরিকদের মাঝে দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব সৃষ্টিতে সফল হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশিয় প্রতিষ্ঠান ও আইনগুলো প্রণয়নেও এই আন্দোলনের ভূমিকা রয়েছে।”
টিআই এর উপদেষ্টা পিটার গত ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গামেন্টসসহ বিভিন্ন খাত পরিদর্শন করেন।