বুধবার হোলসিম সিমেন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশি স্থপতি নুসরাত জাহান মিম ও ফ্রান্সের তিন তরুণ স্থপতি ওই প্রকল্প দুটির প্রস্তাব করে হোলসিম পুরস্কার জিতে নেন।
‘পোর্টেবল হউজিং ফর আরবান পুর ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের জন্য হোলসিম পুরস্কারপ্রাপ্ত নুসরাত জাহান মিম পেশায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এবং স্থপতি।
নিজের প্রকল্পে বাংলাদেশের স্বল্প আয়ের লোকদের সামর্থ্য বিবেচনা করে একটি টেকসই গৃহ নির্মাণের মডেল উদ্ভাবন করেছেন মিম। যাতে তিনি ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান নাগরিকদের ভবিষ্যৎ আবাসিক সমস্যা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন।
প্রকল্পটির জন্য দেশিয় নির্মাণ সামগ্রী বাঁশ ও রিসাইকেলড দ্রব্যদি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে ফ্রান্সের তরুণ স্থপতি মারিয়াম কাবানি, আতিয়ান কবাক্স ও জন এদম, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ওপর গবেষণা করে ‘রি-মেড ফেব্রিক- গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারভেনসন’ প্রকল্পের জন্য পুরস্কার পান।
এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, পোশাক শিল্প একটি মেট্রোপলিটান শহরে কেন্দ্রীভূত না হয়ে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছোট কারখানাতে উৎপাদিত হতে পারে। তাতে শ্রমিক অসন্তোষ হ্রাস পাবে এবং জীবন যাপনের মানের উন্নয়ন হবে।
এই প্রকল্পটিতেও দেশিয় নির্মাণ সামগ্রী বাঁশ ও রিসাইকেলড দ্রব্যদি ব্যবহার এর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রথম বাংলাদেশের ওপর প্রস্তাবিত দুটি প্রকল্প এশিয়া পাসিফিক অঞ্চল থেকে এই পুরস্কার জিতলো বলে হোলসিম তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়, যাতে এই দুটি প্রকল্প ছাড়াও, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের আরও ১১ টি প্রকল্পকে পুরস্কার দেয়া হয়।
এই অঞ্চল থেকে মোট ২১৩২ টি প্রকল্প প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পুরস্কার বিতরণী ইন্দোনেশিয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, হোলসিম গ্রুপ এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে হোলসিম বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন্ত পণ্ডিত।