মঙ্গলবার ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম সিফাত-ই-জাহান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথমে রাজধানীর কোর্ট হাউস স্ট্রিট এলাকার মেসার্স ইউসুফ কনফেকশনারি ও সানমুন হোটেলে অভিযান চালায়।
এসময় নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ-১৯৫৯ এর বিধান অনুযায়ী ইউসুফ কনফেকশনারীকে ৩০ হাজার ও সানমুন হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
পরে আদালত বড় মগবাজারের ওয়্যারলেস রেলগেইট এলাকায় ‘স্বপ্ন’র আউটলেটে অভিযান চালায়।
সেখানে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া পণ্য বিক্রির অপরাধে বিএসটিআই অধ্যাদেশ- ১৯৮৫ এর বিধান অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগেও তামাক নিয়ন্ত্রণ লঙ্ঘন করে সিগারেট প্রদর্শনের দায়ে গত বছর ও চলতি বছর স্বপ্নকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মাছে ফরমালিন পওয়ায় গত অগাস্টে গাজীপুরে স্বপ্নকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে ২১ জুলাই পণ্যের মোড়কে দাম ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকায় চট্টগ্রামে স্বপ্নের আউটলেট থেকে একই অংকের জরিমানা আদায় করা হয়।
চট্টগ্রামে ৭ রেস্তোরাঁকে জরিমানা
নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ ও পরিবেশনের দায়ে চট্টগ্রামের সাত রেস্তোরাঁ মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আাদলত।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিলিং লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এসব হোটেল ও রেস্টুরেন্টকে বিশুদ্ধ খাদ্য আইনে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।”
এর মধ্যে আগ্রাবাদের শেভরন স্পাইসকে ২০ হাজার, মনসুরাবাদের রিয়াজ হোটেলকে ৩০ হাজার, কাশেম হোটেলকে ২০ হাজার ও ঝলক হোটেলকে ২০ হাজার টাকা, হালিশহরের স্টার হোটেলকে ১০ হাজার, একই এলাকার ক্যাফে আয়শাকে ৩০ হাজার এবং ক্যাফে মেহরাজকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।