শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গার্মেন্ট মালিকরা দীর্ঘদিন ধরেই নগদ সহায়তার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছিল।
এতোদিন বিটিএমএ-এর অধীন বস্ত্রখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ সহায়তা পেলেও তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত সরাসরি এ সুবিধা পেত না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ আদেশের ফলে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা প্রতি ১০০ টাকা রপ্তানিতে ২৫ পয়সা হারে নগদ সহায়তা পাবেন।
‘বস্ত্র শিল্পের তৈরি পোশাক খাতে অতিরিক্ত আর্থিক প্রণোদনা প্রদান’ শীর্ষক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, “ইপিজেডের বাইরে অবস্থিত শুল্ক বন্ড/ডিউটি ড্র-ব্যাক সুবিধা গ্রহণকারীসহ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সব প্রতিষ্ঠান রপ্তানিমূল্যের (এফওবি) উপর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে।”
পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এতে আমাদের যৎসামান্য উপকার হবে। তারপরও সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।”
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এ প্রণোদনার ফলে এক লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করলে মাত্র ২৫০ ডলার সহায়তা পাওয়া যাবে।
“নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নসহ নানা কারণে আমাদের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এটা মোটেই যথেষ্ট নয়।”
রপ্তানিমুখি দেশীয় বস্ত্র খাত ‘শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক’ এর পরিবর্তে ৫ শতাংশ বিকল্প নগদ সহায়তা পেয়ে থাকে। এই সহায়তা পান বস্ত্র শিল্প মিল মালিকরা।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া অন্যান্য বাজারে (নতুন বাজার) তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে বস্ত্র খাতে ৩ শতাংশ বাড়তি বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়।