বাংলাদেশ প্রতি বছর স্বল্প পরিমাণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করলেও সরকারিভাবে বড় পরিসরে সিদ্ধ চাল রপ্তানি এই প্রথম।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় চাল রপ্তানির এ প্রস্তাবে সায় দেয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “শ্রীলঙ্কা থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসার পর আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে।”
বর্তমানে আন্তজার্তিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪০০ থেকে ৪২০ ডলার জানিয়ে কামরুল বলেন, “যে চাল রপ্তানি করা হবে তার উৎপাদন খরচ ৪৩৬ ডলার, এ হিসাবে ১৪ মার্কিন ডলার লাভ থাকবে।”
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন বেশি।
তাছাড়া দেশের বাজারেও চালের দাম এখন স্থিতিশীল বলে দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী।
“বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়গুলো মাথায় রেখেই রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে বছরে সাড়ে তিন কোটি মেট্রিক টন খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন প্রয়োজন হয় এক লাখ মেট্রিক টন। এই ৩০ থেকে ৪০ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত থাকে।
শস্য আমদানি পরিস্থিতি জানিয়ে কামরুল বলেন, বর্তমানে কেবল বেসরকারি পর্যায়ে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টন সুগন্ধি চাল আমদানি হয়। সরকার কেবল গম আমদানি করে থাকে।
অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।