বৃহস্পতিবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে চীন, জাপান ও ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী এদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
“এমতাবস্থায় হরতালসহ যে কোনো নেতিবাচক কার্যক্রম দেশের ভাবমূর্তির ওপর প্রভাব ফেলবে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবে বলে এফবিসিসিআই মনে করে।”
বুধবারের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী গ্রেপ্তার না হওয়ায় ২৬ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করার ঘোষণা দেয় সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি হজ ও তাবলিগ জামাতের ঘোর বিরোধী। এতে শ্রমশক্তি ও অর্থের অপচয় হয়।
তার ওই বক্তব্য ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাইক্রোব্লগগুলোতে আলোচনার ঝড় তোলে। বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক সংগঠন এ নিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকিও দেয়।
এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কয়েক ডজন। কয়েকটি মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
কয়েকটি ইসলামী দলের হুমকির মধ্যেই গত ১২ অক্টোবর লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বর্তমানে তিনি ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
এফবিসিসিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো নেতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াস কোনোভাবেই কাম্য নয়।
“আমরা মনে করি লতিফ সিদ্দিকী দেশে ফিরলে সরকার আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন ।”