ভারতের চালের জাহাজ আশুগঞ্জের পথে

ভারতের কলকাতা থেকে পাঁচ হাজার টন চালের চারটি জাহাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পথে রয়েছে। আশুগঞ্জ থেকে এসব চাল পরে ত্রিপুরায় পাঠানো হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 02:00 PM
Updated : 17 Oct 2014, 07:41 PM

আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, কলকাতার ডায়মন্ড হারবার পোর্ট থেকে গত ৬ অক্টোবর পাঁচ হাজার টন চাল নিয়ে চারটি জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে এসেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজ চারটি মংলা পোর্ট অতিক্রম করে। আগামী রোববারের মধ্যে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

এরপর সোমবার থেকে এসব চাল কাভার্ডভ্যানের মাধ্যমে সড়ক পথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে তিনি জানান।

শাহ আলম আরো বলেন, ১৯৭২ সালের নৌ প্রটোকলের আওতায় বিনা শুল্কে ১০ হাজার টন চাল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নেওয়ার কথা রয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রথম দফায় গত অগাস্টে পাঁচ হাজার টন চাল ত্রিপুরায় নেয়া হয়। এখন আসছে বাকি পাঁচ হাজার টন।

পরিদর্শক শাহ আলম জানান, বাংলাদেশ-ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার পর ১৯৭২ সালের নৌপ্রটোকল চুক্তির আওতায় বিনাশুল্কে বাংলাদেশের চারশ কিলোমিটার জলপথ, ৫০ কিলোমিটার সড়ক পথ, আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ১০ হাজার টন খাদ্য পণ্য ভারতের ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়।

সেই মোতাবেক এসব চাল ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়ার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজকে কার্যাদেশ দেয়া হয়।

এ প্রতিষ্ঠানটি গত অগাস্টে পাঁচ হাজার টন চাল ত্রিপুরায় পাঠিয়েছে।

এসব পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের কার্গো জাহাজ ও ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে গালফ ওরিয়েন্ট সিওয়েজের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক মো. নুরুজ্জামান (জামান) জানান, কলকাতা ডায়মন্ড হারবার পোর্ট থেকে ৫ হাজার টন চাল নিয়ে এমভি গালফ-৩, এমভি গালফ-৭, এমভি দত্তপাড়া ও এমভি রাইড-১ এই চারটি জাহাজ গত ৬ অক্টোবর আশুগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এগুলো বৃহস্পতিবার মংলা পোর্ট অতিক্রম করেছে।