ইতালির মিলানে দশম আসেম সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বিকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের সরকার প্রধানের এই বৈঠক ‘খুবই ফলপ্রসূ’ হয়ছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব বিজন লাল দেবও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে ছিলেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির প্রায় ৭০ কোটি ডলারের বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে মাত্তিও রেনসি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বাড়ানো যেতে পারে, যদি এজন্য আরও উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্পের ‘গ্লোবাল হাব’ হতে পারে বাংলাদেশ।
এই খাতের উন্নয়নে তার দেশের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাসও দেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
ইতালিতে থাকা বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাজের প্রশংসাও করেন তিনি।
দু’দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লফভেনের সঙ্গেও মিলান কংগ্রেসে বৈঠক করেন।
শিক্ষাখাতে তার সরকারের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ হলো ‘স্মার্ট ইনভেন্সমেন্ট’।
পর্যটন খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সাগর অর্থনীতির কথাও উল্লেখ করেন।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন বলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অটিজমের বিরুদ্ধে যে সচেতনতা গড়ে তুলেছেন- তা সকলের জন্য অনুকরণীয় বলেও মন্তব্য করেন লফভেন।