প্রতিষ্ঠানটির এই গ্রাহক সংখ্যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর প্রায় ৪২ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও বিবেক সুদ বলেন, “আজ আমাদের এই মাইলফলক উদযাপন আমাদের গ্রাহকদের নিয়েই।”
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোনের প্রথম গ্রাহক লাইলী বেগম এবং ৫ কোটিতম গ্রাহক আরিফিন সিদ্দিক আরিফকে জানানো হয় বিশেষ সম্মাননা।
বিবেক সুদ বলেন, “আমরা যখন এই যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন আমাদের অঙ্গীকার ছিল গ্রাহকদের জন্য আপসহীন সেবা প্রদান করা। আমি আজ আনন্দিত, কারণ আমরা আমাদের অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হইনি। এখনও গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গ্রাহক সেবাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে গ্রামীণফোনের।
“সবার জন্য ইন্টারনেট”কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণফোন প্রথম অপারেটর হিসেবে দেশের ৬৪ জেলায় থ্রিজি সেবা পৌঁছে দিয়েছে।
দেশজুড়ে ৮ হাজার ৬০০ বেজ স্টেশনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে গ্রামীণফোন, যার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশের মোট জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশকে তাদের নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে পেরেছে।
বিবেক সুদ বলেন, “টেলিনর ১৩টি দেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে, এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।”
এ মাইলফলক উদযাপন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় সব অফারের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) অ্যালান বনকে।
তিনি জানান, গ্রামীণফোন থ্রিজি গ্রাহকেরা তাদের মোবাইল ডিভাইসে বর্তমান ইন্টারনেট প্যাকেজে কোনো বাড়তি খরচ ছাড়াই দ্বিগুণ গতির ইন্টারনেট উপভোগ করতে পারবেন।
জিপি নেটওয়ার্কের আওতায় গ্রাহকরা প্রতি ১০ সেকেন্ড পালসে ৫ পয়সার বিশেষ রেট উপভোগ করতে পারবেন সীমিত সময়ের জন্য।
“সবচেয়ে বেশি গ্রাহককে সেবাদানকারী অপারেটর হিসাবে আমরা সবচেয়ে বেশি মানুষকে নিয়ে এ উপলক্ষ উদযাপন করছি। সবচেয়ে বড় উদযাপনে অংশগ্রহণে সবাইকে স্বাগতম”, বলেন তিনি।