ছুটির তাড়ায় ব্যাংকে উপচেপড়া ভিড়

ঈদ-পূজার ছুটির আগে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে গ্রাহকদের প্রচণ্ড চাপ সামলাতে হয়েছে ব্যাংকগুলোতে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2014, 04:01 PM
Updated : 2 Oct 2014, 04:03 PM

রাজধানীতে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকদের নগদ টাকা তোলার পাশাপাশি নতুন টাকার জন্যও ভিড় করতে দেখা গেছে।   

সাধারণ সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনেদেনের সময় (ব্যাংকিং আওয়ার) থাকলেও গ্রাহক চাপ সামলাতে কোনো কোনো ব্যাংকের শাখায় এদিন পরেও লেনদেন হতে দেখা গেছে।

পূর্ণ কর্মঘণ্টার শেষ দিনে গ্রাহকদের নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোকে নির্ভর করতে হয়েছে আন্তঃব্যাংক ঋণের (কলমানি) ওপর। এর প্রভাবে কলমানি সুদের হারও বুধবারের চেয়ে বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৃহষ্পতিবার কলমানি মার্কেটে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। সর্বনিম্ন ছিল ৬ শতাংশ। বুধবার এ হার ছিল সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার সারাদিনে কলমানিতে লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৯ কোটি টাকা। বুধবার এর পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, যা ছিল সপ্তাহের সর্বাধিক লেনদেন।

সপ্তাহের প্রথম দিন অর্থাৎ রোববার কলমানি মার্কেটে সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। ওইদিন সারাদিনে হাত বদল হয় ৮ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।

মতিঝিল ও দিলকুশা এলাকার অধিকাংশ ব্যাংকের শাখাতেই গ্রাহকদের একাধিক লম্বা লাইন দেখা গেছে। ক্যাশের কর্মকর্তারাও পালা করে লেনদেন করছেন।

অগ্রণী ব্যাংকের লোকাল অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুরো সপ্তাহ জুড়ে গ্রাহকের অতিরিক্ত ভিড় চলেছে। যে কারনে নির্ধারিত সময়ের বাইরেও লেনদেনের সুযোগ দিতে হয়েছে। লম্বা ছুটি পড়ে যাওয়ায় অনেক গ্রাহক নগদ টাকা তুলে রাখছেন। এর ফলে ব্যাংক থেকে প্রচুর টাকা উত্তোলন হয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি।”

নতুন নোটের জন্য ভিড়

নতুন টাকা সংগ্রহরে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে অনেক গ্রাহককে।

গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় এবার আগে থেকেই সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুত রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ কাউন্টারের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়ে ১৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার নতুন ও পুনঃইস্যু করা নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি অফিসার জোয়ারদার ইসরায়েল হোসেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাউন্টার থেকে পর্যাপ্ত নতুন নোট সরবরাহের পরও অনেককে সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে থেকে নতুন নোট কিনতে দেখা গেছে।

জানা গেছে, সেখানে প্রতিটি ১০০ টাকার নতুন নোটের বান্ডেলের জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

তাছাড়া ৫০ টাকার নোটের বান্ডেলের জন্য ৬০ টাকা, ২০ টাকার বান্ডেলের জন্য ৫০ টাকা, ১০ টাকার বান্ডেলের জন্য ৪০ টাকা, ৫ টাকার বান্ডেলের জন্য ৩০ টাকা এবং ২ টাকার বান্ডেলের জন্য ২০ টাকা করে অতিরিক্ত দিতে হচ্ছে।