বুধবার বন্দর নগরীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম চেম্বার ও আমেরিকান চেম্বার অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহারের সময় বাংলাদেশকে যে ‘রোডম্যাপ’ দেওয়া হয়েছিল তার অনেকটাই বাংলাদেশ পূরণ করছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে হওয়া এ বৈঠকে মজীনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে শিক্ষা, কৃষি, শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশকে ‘ইমার্জিং টাইগার অব এশিয়া’ অভিহিত করে রাষ্ট্রদূত বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ চিকিৎসা, শিক্ষা, শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে অনেক এগিয়ে গেছে।
১৯৯৮ সালে নিজের দেখার সঙ্গে এখনকার বাংলাদেশের তুলনা করে মজীনা বলেন, “আমি বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ঘুরেছি, সবক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখেছি।”
অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে সমস্যা হিসেবে গ্যাস সঙ্কটের বিষয়টি তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও কার্যকর করার পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দ্রুত চার লেইনে উন্নীত করা, ডাবল রেললাইনের পরামর্শ দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমেরিকান চেম্বারের সভাপতি আফতাবুর ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক এ গফুর, চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মির্জা আবু মনসুর, আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাউদ্দিন কাশেম খান, ব্যবসায়ী নেতা তাহের সোবহান, ইস্টডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মু সিকান্দার খান, ব্যবসায়ী আতাউল করিম চৌধুরী।