বুধবার তিনি যোগ দেন বলে বেসিক ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইকবাল এর আগে বিশেষায়িত কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
চার মাসের বেশি সময় ধরে বেসিক ব্যাংকের এই পদটিতে চলতি দায়িত্বে ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুস সোবহান।
নানান অনিয়মের অভিযোগে গত ২৫ মে এই ব্যাংকের এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পর থেকেই পদটি শূন্য ছিল।
ফখরুলকে বরখাস্ত করার কয়েক দিন পর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু পদত্যাগ করেন।
সরকারি এই ব্যাংকে গত পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণে অনিয়ম ধরা পড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরীক্ষায়। এসব ঋণের বড় অংশই এখন খেলাপি এবং যেসব প্রতিষ্ঠানকে এসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এর ফলে ব্যাংকটির আর্থিক ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক অনেক ব্যাংক বাংলাদেশের এই ব্যাংকের এলসি নিচ্ছে না বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
জুন শেষে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সঙ্কটে থাকা এই ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া ইকবাল ১৯৮১ সালে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-এ প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ছাড়াও তিনি আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ইকবাল অগ্রণী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে মহাব্যবস্থাপক ছাড়াও সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেডের সিইও এবং সোনালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।