অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ‘ফিরছে’ বিমান

সংসদীয় কমিটির নির্দেশের পর দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফের ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

আশিক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2014, 04:01 PM
Updated : 30 Sept 2014, 04:23 PM

পাঁচবার দরপত্র ডেকেও ব্যর্থ হয়ে ষষ্ঠবারে দেশে চালানোর উপযোগী উড়োজাহাজ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন মোসাদ্দেক আহমেদ।

মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো আগামী সপ্তাহে পরিচালনা পর্ষদের সভায় তোলা হবে। পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন দিলেই আমরা দ্রুততম সময়ে উড়োজাহাজ সংগ্রহের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করব।”

“আশা করি সংসদীয় কমিটির বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই অভ্যন্তরীণ রুটে পুনরায় ফ্লাইট শুরু করা সম্ভব হবে।”

তবে কোন-কোন রুটে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনই দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান মোসাদ্দেক আহমেদ।

গত ২৫ অগাস্ট জাতীয় সংসদ ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমানকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করতে বলেন কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান।

অভ্যন্তরীণ রুটে চালানোর জন্য দুটি টার্বো প্রপেলার জাতীয় উড়োজাহাজের খোঁজ করছিল বিমান। গত বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার উড়োজাহাজ ভাড়ার জন্য দরপত্র ডেকেও সাড়া পায়নি রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি।

গত বছরের নভেম্বরে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালু করার ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হন বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল।

বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কম হওয়ায়  স্বল্প দূরত্বে ফ্লাইট চালানোর জন্য টার্বো প্রোপেলার জাতীয় উড়োজাহাজ বাণিজ্যিকভাবে বেশি লাভজনক।

এ ধরনের উড়োজাহাজে সাধারণত ৪৫ থেকে ৫০টি আসন থাকে। 

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংযোগ ফ্লাইটে সিলেট এবং চট্টগ্রামে যাত্রী পরিবহন করা হয়। 

বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিলের পরিকল্পনায় সিলেট ও চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা ফ্লাইটসহ কক্সবাজারে সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট চালানোর কথা ছিল।

এছাড়া যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটেও ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করেছিল বিমান।

উড়োজাহাজের অভাবে কয়েক বছর ধরে বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটগুলো বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়।

দেশের চারটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট থাকলেও এগুলোর টিকেটের মূল্য অনেক বেশি বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

এদের কয়েকটির সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।