বেনাপোলে ৬৬ ক্লিয়ারিং এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল

শুল্ক ফাঁকিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বেনাপোল বন্দরের ৬৬টি কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং (সিঅ্যান্ডএফ) প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে শুল্কভবন কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2014, 05:48 PM
Updated : 29 Sept 2014, 05:48 PM
এর মধ্যে সাতটির লাইসেন্স সাময়িক এবং ৫৯টি লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে।

বেনাপোল শুল্কভবনের যুগ্ম কমিশনার সৈয়দ আতিকুর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্তে আমদানি পণ্যের শুল্ক ফাকিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এসব লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।এছাড়া অনেক মালিক তাদের লাইসেন্স সমর্পণ করেছেন।

এছাড়া ১৫টি প্রতিষ্ঠান নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

শুল্কভবন সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে ৭৪০টি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমদানিকারকদের পক্ষে পণ্য ছাড় করানোর কাজ করছে।

এদিকে কিছু শুল্ক ফাঁকি বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত পরপর তিনটি অর্থবছরে এ বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব সরকার আদায় করতে পারছে না।

শূল্কভবনের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব হাসান জানান, ২০১১-১২ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। বছর শেষে ঘাটতি ছিল ১৯৪ কোটি টাকা।

২০১২-১৩ ২ হাজার ৬২০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি থাকে ৪৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছে ২ হাজার ৪৮০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।

মাহাবুব হাসান জানান, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেনাপোলে ২৫৭টি শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়ে। ২০১১-১২ অর্থ বছরে ধরা পড়ে ২৯৪টি আর ২০১০-১১ অর্থবছরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ধরা পড়ে ২১২টি।