সোমবার ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ‘ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল এক্সপো-২০১৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পোশাক খাত যেভাবে বিশ্ব বাজারে সম্প্রসারিত হচ্ছে সে অনুযায়ী দেশে প্রাথমিক বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণ ঘটেনি। ফলে দেশীয় উৎস থেকে চাহিদা অনুযায়ী কাপড় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
“এজন্য সরকার প্রাথমিক বস্ত্র খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আশা করছে। এক্ষেত্রে ভারতীয় উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।”
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
“ভারত বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও অশুল্ক বাধার কারণে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আমরা আশা করব, উভয় দেশের স্বার্থে এসব অশুল্ক বাধা দূর করার উদ্যোগ নেবে ভারত সরকার। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে উদ্যোগী হবেন বলে আশা করি।”
ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণে ভারত ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’ নামে যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
অশুল্ক বাধা ও ভিসা জটিলতা নিরসনে ভারত সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, “ভারতের সঙ্গে ব্যবসা বাড়ানোর অন্যতম সমস্যা কাউন্টার ভেইলিং (আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আরোপিত শুল্ক)। এ সমস্যা দূর করা না গেলে বাংলাদেশ ভারতের বাজারে রপ্তানি বাড়াতে পারবে না।”
ভারতের দ্য সিনথেটিক অ্যান্ড রেয়ন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে গুজরাটের নয়টি, মুম্বাইয়ের ১১টি এবং তামিলনাড়ু ও আহমেদাবাদের একটি করে প্রতিষ্ঠান কাপড় ও সুতা প্রদর্শন করছে।
এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ ও ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই পরিচালক হারুণ অর রশিদ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।