নম্বর পরিবর্তনের ঝক্কি থাকছে না ল্যান্ডফোনে

ঠিকানা পরিবর্তনের পর নম্বর পরিবর্তনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন রাজধানীর ল্যান্ডফোন গ্রাহকরা।

শামীম আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2014, 03:24 PM
Updated : 23 Sept 2014, 03:24 PM
প্রচলিত কপার কেবলের ব্যবহার সীমিত রেখে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগও নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

ঢাকা শহরের পুরাতন ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম প্রতিস্থাপন (১৭১ কে, এল) প্রকল্পের মাধ্যমে এ কাজ প্রায় শেষ করেছে বিটিসিএল।

প্রকল্প পরিচালক স্বপন কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে কয়েকটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের টেলিফোন নম্বর ৮ ডিজিটের টেলিফোন নম্বর দিযে পরিবর্তন করা হচ্ছে।”

“পরিবর্তিত হওয়ার পর এক একচেঞ্জ থেকে অন্য একচেঞ্চে ঠিকানা পরিবর্তন করলেও নম্বর পরিবর্তন হবে না।”

সাধারণত কোন ঠিকানা পরিবর্তন করলে এক একচেঞ্জ থেকে অন্য একচেঞ্জে গেলে নম্বর পরিবর্তন হয়ে যায়।

এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা শহরের প্রায় আড়াই লাখ নম্বর ৮ ডিজিটে পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক স্বপণ কুমার।

বর্তমানে উত্তরা, গুলশান, শেরেবাংলা নগর, রমনা, মগবাজার, নীলক্ষেত, মিরপুর, বাবুবাজার, চকবাজারসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে টেলিফোন চালু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

বিটিসিএল পরিচালক মীর মোহাম্মদ মোরশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বর্তমানে ঢাকায় বিভিন্ন একচেঞ্জ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টেলিফোন গ্রাহক রয়েছে। পুরো বাংলাদেশে রয়েছে ৯ লাখ গ্রাহক। ২০১০ সালে এ গ্রাহক সংখ্যা ছিলো প্রায় ১০ লাখ।

প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকার পুরাতন ডিজিটাল টেলিফোন সিস্টেম এনজিএন ভিত্তিক সফট সুইচ এর মাধ্যমে গ্রাহকদের আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হবে।

প্রচলিত কপার (তামা) কেবলের ব্যবহার সীমিত রেখে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে গ্রাহকদের এলাকা পযন্ত, কোন কোন ক্ষেত্রে ভবন এমনকি বাসা পযন্ত সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি এ প্রকল্পে রয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

বিভিন্ন সময় কপার কেবলের চুরির হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রাহকরা অসুবিধায় পড়েন, এর ফলে এ ভোগান্তি থেকে গ্রাহকরা রেহাই পাবে বলেও মনে করছে বিটিসিএল।

এনজিএন ভিত্তিক সফট সুইচের মাধ্যমে ২০ এমপিবিএস পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা, একই সাথে গ্রাহকরা ভয়েস ও ভিডিও (যেমন আইপিটিভি, ভিডিও অন ডিমান্ড, অনলাইন গেমিং) সুবিধা পরবর্তীতে দেওয়া যাবে বলেও জানান স্বপন কুমার।