‘স্থিতিশীল’ হচ্ছে পুঁজিবাজার

চাঙাভাব অব্যাহত থাকায় পুঁজিবাজার আগের চেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। 

নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2014, 12:16 PM
Updated : 23 Sept 2014, 12:16 PM

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স টানা সপ্তম দিনের মতো বেড়ে মঙ্গলবার চার হাজার ৯৬৭ পয়েন্ট হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৩ পয়েন্ট বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএসইএক্স এদিন ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে নয় হাজার ৩৬৫ পয়েন্ট হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্যাংকগুলোর সুদের হার কমে যাওয়ায় মানুষ বেশি লাভের আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে। এ কারণেই চাঙাভাব।   

সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠান এইমস অব বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ইওয়ার সাঈদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজার এথন আগের চেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে ।”

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এদিন হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ১৬ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে ২৪ কোটি টাকা বেশি।

তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন আগের দিনের তুলকায় প্রায় ২ কোটি টাকা কমেছে; হাতবদল হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার শেয়ার।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১৫২টির দাম বেড়েছে; কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

অবশ্য ইওয়ার সাঈদ মনে করে, এই চাঙাভাবের মধ্যে কিছু শেয়ারের দাম অযৌক্তিক রকম বেড়ে গেছে, যেগুলোর ‘মূল্য সংশোধন’ হতে পারে ।

গত সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে ১৯০ পয়েন্ট যোগ হয়। আগের তিন সপ্তাহে এ সূচক বাড়ে ২৮৮ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৯২০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৪৭ কোটি টাকা বেশি।

সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত আড়াই মাস ধরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বাড়ছে।

২০১৪ সালের শুরুতে সূচক ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টে ওঠার পর জুনে তা ৪ হাজার ৩০০ পয়েন্টে নেমে আসে। গত আড়াই মাসে তা আবার বেড়ে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টের ওপরে এসেছে।

২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল প্রায় ৯ হাজার পয়েন্ট। ব্যাপক ধাসের পর ২০১২ সালের শেষে তা ৪ হাজার ২০০ পয়েন্টে নেমে আসে। সেই ধস ২০১৩ সালেও অব্যাহত থাকে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ৪ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ওই বছর শেষ করে।