আগের দিনের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে রোববার ডিএসইএক্স পৌঁছেছে ৪ হাজার ৯১৩ পয়েন্টে। সূচক পুনর্বিন্যাসের পর ২০১৩ সালের ২৭ জনুয়ারি ৪০৫৬ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
সূচক বাড়লেও রোববার লেনদেন কমেছে ডিএসইতে। হাতবদল হয়েছে ৯৮১ কোটি টাকার শেয়ার, যা গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবারের চেয়ে ৩০৮ কোটি টাকা কম।
বৃহস্পতিবার এ বাজারে ১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল, যা ছিল সাড়ে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসইএক্স এদিন ১৩৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ২১৮ পয়েন্ট।
এ বাজারে লেনদেন কমেছে প্রায় ১১ কোটি টাকা; হাতবদল হয়েছে ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২৩২টির দাম বেড়েছে; কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
গত সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে ১৯০ পয়েন্ট যোগ হয়। আগের তিন সপ্তাহে এ সূচক ২৮৮ পয়েন্ট বেড়েছে।
গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৯২০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৪৭ কোটি টাকা বেশি।
সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত আড়াই মাস ধরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বাড়ছে।
২০১৪ সালের শুরুতে সূচক ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টে ওঠার পর জুনে তা ৪ হাজার ৩০০ পয়েন্টে নেমে আসে। গত আড়াই মাসে তা আবার বেড়ে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টের ওপরে এসেছে।
২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল প্রায় ৯ হাজার পয়েন্ট। ব্যাপক ধাসের পর ২০১২ সালের শেষে তা ৪ হাজার ২০০ পয়েন্টে নেমে আসে। সেই ধস ২০১৩ সালেও অব্যাহত থাকে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ৪ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ওই বছর শেষ করে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্যাংকগুলোর সুদের হার কমে যাওয়ায় মানুষ বেশি লাভের আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে।