বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অ্যালায়েন্সের এক বছরের কাজের পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান জোটটির সভাপতি অ্যালেন তোশে।
বৃহস্পতিবার অ্যালায়েন্সের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যালেন তোশে তার বক্তৃতায় বলেন, “একেবারে শুরুতে, অ্যালায়েন্স সদস্যরা শ্রমিক নিরাপত্তা তহবিলে পাঁচ কোটি ডলার দিয়েছে । এছাড়া কারখানা মালিকদের কারখানার মানোন্নয়নে স্বল্প সুদে ঋণের জন্য আগেই ১০ কোটি ডলারের তহবিল আমরা গঠন করেছি।
“সম্প্রতি আমরা স্বল্প সুদে পুঁজি পেতে কারখানা মালিকদের সহযোগিতার লক্ষ্যে আরো দু’কোটি ডলারের তহবিল অনুমোদন করেছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণীতে প্রভাবশালী, অলাভজনক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাইপার্টিজান সেন্টার (বিপিসি) এই পর্যালোচনার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বাইপার্টিজান পলিসি সেন্টারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিনেটর জর্জ মিচেল এবং সিনিয়র ফেলো ও সিনেটর অলিম্পিয়া স্নোয়ি বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় শ্রম মান উন্নয়নে অ্যালায়েন্সের গত এক বছরের কাজের প্রশংসা করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফায়ার প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশন (এনএফপিএ)-এর সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক সই করেছে অ্যালায়েন্স।
জোটের ওয়েবসাইটে অপর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে নিরাপত্তার মানদণ্ড সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাবে এনএফপিএ।
এ লক্ষ্যে কারখানা শ্রমিক এবং ব্যবস্থাপনা কর্মীদের নিরাপদ অগ্নি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি ঝুঁকি চিহ্নিত করা ও তা দূর করার ওপর প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করার ব্যাপারেও সংস্থাটি কাজ করবে।
অগ্নি ও ভবন নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা এনএফপিএ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাপী এ সংশ্লিষ্ট কাজে যাদের বিশেষ সুনাম রয়েছে।
চার বছর মেয়াদি এ সহযোগিতা সম্পর্কে অ্যালায়েন্স সভাপতি এলেন তোশে বলেন, “এনএফপিএ’র সঙ্গে এই সহযোগিতা অগ্নি ও ভবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রচলিত সেরা ব্যবস্থা ও মানদণ্ড। এটি অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের সদস্যদের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।”